ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহালের প্রস্তুতি ফ্রান্স, জার্মানি ও যুক্তরাজ্যের

ফ্রান্স, জার্মানি ও যুক্তরাজ্য (ই-৩ গ্রুপ) ইরানকে জানিয়েছে, ইরান যদি আগস্টের শেষের মধ্যে পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে আলোচনায় না আসে, তবে তারা দেশটির ওপর থেকে তুলে নেওয়া নিষেধাজ্ঞা পুনরায় কার্যকর করতে প্রস্তুত রয়েছে। তিনটি ইউরোপীয় শক্তি জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস ও নিরাপত্তা পরিষদকে পাঠানো এক যৌথ চিঠিতে এই কথা জানিয়েছে।
২০১৫ সালের যৌথ ব্যাপক কর্মপরিকল্পনা চুক্তি অনুসারে, ইরানের পারমাণবিক কর্মকাণ্ডের ওপর বিধিনিষেধ আরোপের বিনিময়ে জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা শিথিল করা হয়েছিল। এই চুক্তির একটি বিধান হলো ‘স্ন্যাপব্যাক’ প্রক্রিয়া। কোনো স্বাক্ষরকারী দেশ যদি মনে করে ইরান চুক্তি লঙ্ঘন করছে, তবে নিষেধাজ্ঞাগুলো পুনরায় কার্যকর করতে পারবে। ই-৩ গ্রুপ এই প্রক্রিয়া চালুর জন্য প্রস্তুত বলে জানিয়েছে।
এই হুঁশিয়ারি এমন এক সময়ে এলো, যখন আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থার (আইএইএ) সঙ্গে ইরানের সহযোগিতা স্থগিত থাকার কারণে উত্তেজনা বেড়েছে। জুন মাসে ইসরায়েল ইরানের বিরুদ্ধে ১২ দিনের যুদ্ধ শুরু করার পর তেহরান আইএইএ-এর সঙ্গে সহযোগিতা বন্ধ করে দেয়। এই সংঘাতে ইসরায়েলের হয়ে যুক্তরাষ্ট্র ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে বোমা হামলা চালায়।
২০১৮ সালে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প একতরফাভাবে এই চুক্তি থেকে সরে এসেছিলেন। বর্তমানে ইউরোপীয় শক্তিগুলো দাবি করছে, ইরান চুক্তির শর্ত লঙ্ঘন করেছে ও ২০১৫ সালে নির্ধারিত সীমার চেয়ে ৪০ গুণেরও বেশি ইউরেনিয়াম মজুদ করেছে।

তবে, আইএইএ পরিদর্শনের অনুমতি পাওয়ার পর ইরান ৯০ শতাংশ অস্ত্র-গ্রেড স্তরে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করেছে এমন কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
এদিকে, ইরান আইএইএ-এর সঙ্গে আলোচনা করতে ও সংস্থাটির একটি সফরের ব্যবস্থা করতে সম্মত হয়েছে। জুনের সংঘাতের পর এটিই হবে তাদের প্রথম সাক্ষাৎ।