কলম্বিয়ায় পৃথক হামলায় পুলিশ সদস্যসহ নিহত ১৮

কলম্বিয়ায় বিলুপ্ত হওয়া রেভ্যুলুশনারি আর্মড ফোর্সেস অফ কলম্বিয়া (ফার্ক) গ্রুপের ভিন্নমতাবলম্বী গোষ্ঠীর পৃথক হামলায় কমপক্ষে ১৮ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও অর্ধশতাধিক। খবর বিবিসির।
কলম্বিয়া কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার দেশের তৃতীয় জনবহুল শহর ক্যালিতে একটি ব্যস্ত রাস্তায় গাড়ি বোমা বিস্ফোরণে ছয়জন নিহত এবং ৬০ জনের বেশি আহত হয়েছেন। এর কয়েক ঘণ্টা আগে একটি সামরিক হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে ১২ জন নিহত হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, গাড়িতে বোমা হামলার মূল লক্ষ্য ছিল মার্কো ফিদেল সুয়ারেজ মিলিটারি এভিয়েশন স্কুল। তবে এই হামলায় রাস্তার বেসামরিক নাগরিকরা নিহত হন এবং অনেক ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত ছবিতে দেখা যায়, দেশটির উত্তরে আমালফির একটি বনাঞ্চলে কালো ধোঁয়ার ঘনকুণ্ডলী উড়ছে।
ক্যালির মেয়র আলেজান্দ্রো এডার শহরটিতে সামরিক আইন জারির নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বড় ট্রাক শহরে প্রবেশের ওপর সাময়িক নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করেছেন। একই সঙ্গে এই ধরনের তথ্য জানানোর জন্য ১০ হাজার ডলার পুরস্কারের ঘোষণা দিয়েছেন।
প্রতিরক্ষামন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ এই বিস্ফোরণটিকে ‘সন্ত্রাসী হামলা’ বলে অভিহিত করেছেন। এর জন্য ফার্ক গেরিলা নেতা ইভান মরডিস্কোর অধীনে থাকা ‘নারকো কার্টেল ওরফে মর্ডিস্কোকে’ দায়ী করেছেন। এটি মাদক পাচারের ওপর নিয়ন্ত্রণ হারানোর প্রতিক্রিয়া। সানচেজ আরও বলেন, ফার্কের বৃহত্তম শাখা ইএমসি এই আক্রমণটি ঘটিয়েছে।

এদিকে পুলিশের হেলিকপ্টারে পৃথক হামলার বিষয়ে রাষ্ট্রপতি গুস্তাভো পেট্রো বলেন, বিমানটি কোকা পাতার ফসল নির্মূল করার মিশনে ছিল। একটি ড্রোনের আঘাতে হেলিকপ্টারটি মাটিতে পড়ে যায়, এতে ১২ জন কর্মকর্তা নিহত হন।
সাম্প্রতিক মাসগুলোতে কলম্বিয়ায় সহিংসতা বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০২৪ সালে দেশে ১১৫টি ড্রোন হামলা রেকর্ড করা হয়েছিল। যার বেশিরভাগ হামলাই অবৈধ সশস্ত্র গোষ্ঠী দ্বারা পরিচালিত হয়েছিল। গত সপ্তাহে দেশটির দক্ষিণ-পশ্চিমে একটি ড্রোন হামলায় তিন সৈন্য নিহত হন।