রাশিয়ার পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে ইউক্রেনের ড্রোন হামলা

রাশিয়ার পশ্চিমাঞ্চলীয় কুর্স্ক অঞ্চলের একটি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন। এতে স্থাপনাটিতে আগুন লাগলেও তা নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।
রাশিয়ার কর্মকর্তারা জানান, বিমান প্রতিরক্ষা বাহিনী একটি ইউক্রেনীয় ড্রোন ভূপাতিত করে। তবে ড্রোনটি পড়ে বিস্ফোরিত হয়ে বিদ্যুৎকেন্দ্রের একটি ট্রান্সফরমার ক্ষতিগ্রস্ত করে। তবুও বিকিরণ স্তর স্বাভাবিক রয়েছে এবং কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। খবর বিবিসির।
আন্তর্জাতিক পারমাণবিক শক্তি সংস্থা (আইএইএ) আবারও উভয় পক্ষকে পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর আশপাশে সর্বোচ্চ সংযম প্রদর্শনের আহ্বান জানিয়েছে।
আজ রোববার (২৪ আগস্ট) স্বাধীনতা দিবস পালন করছে ইউক্রেন। ১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন থেকে স্বাধীনতার ঘোষণার দিনটিই এই দিবসের মূল তাৎপর্য বহন করে। এ উপলক্ষে লন্ডনের ডাউনিং স্ট্রিটে ইউক্রেনের পতাকা উত্তোলন করা হবে বলে জানিয়েছে যুক্তরাজ্য সরকার।
ব্রিটিশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রী জন হিলি বলেন, “ইউক্রেনের জনগণের স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের এই বিশেষ দিনে আমরা আমাদের সহায়তা আরও বাড়াচ্ছি।”
যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ঘোষণা করেছে, ২০২৬ সালের শেষ পর্যন্ত ব্রিটিশ সামরিক বিশেষজ্ঞরা ইউক্রেনীয় সেনাদের প্রশিক্ষণ দিয়ে যাবে। অপারেশন ইন্টারফ্লেক্স নামে পরিচিত এই কর্মসূচির আওতায় ইউক্রেনীয় সেনাদের রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধের প্রস্তুতি নিতে সহায়তা করা হচ্ছে।
অন্যদিকে শনিবার (২৩ আগস্ট) রাশিয়া দাবি করেছে, তাদের সেনারা পূর্ব ইউক্রেনের দোনেৎস্ক অঞ্চলের দুটি গ্রাম দখল করেছে। তবে এ অগ্রযাত্রা ধীরগতির এবং ব্যাপক প্রাণহানির বিনিময়ে অর্জিত হচ্ছে। বর্তমানে রাশিয়ার দখলে ইউক্রেনের প্রায় ২০ শতাংশ ভূখণ্ড রয়েছে।
এ মাসে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মধ্যে আলাস্কায় শীর্ষ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠককে শান্তির পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বর্ণনা করা হলেও পরবর্তীতে ট্রাম্প প্রকাশ্যে শান্তি প্রক্রিয়ার ধীরগতিতে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
ট্রাম্প বলেন, “আমরা পরবর্তী পদক্ষেপে কী করব, সেটি নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে হবে। হয় বিশাল নিষেধাজ্ঞা, নয়তো বড় অঙ্কের শুল্ক—অথবা কিছুই নয় এবং বলব এটি তোমাদের যুদ্ধ।”

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বারবার শর্তহীন যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে আসছেন। ইউরোপীয় মিত্ররাও এ আহ্বান সমর্থন করেছেন। তবে জেলেনস্কি অভিযোগ করেছেন, রাশিয়া ইচ্ছাকৃতভাবে শান্তি বৈঠক এড়াচ্ছে।
রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ বলেন, “পুতিন ইউক্রেনের নেতার সঙ্গে বৈঠকে প্রস্তুত আছেন, তবে একটি সুনির্দিষ্ট এজেন্ডা তৈরি হতে হবে। এখন পর্যন্ত কোনও এজেন্ডা প্রস্তুত হয়নি। জেলেনস্কি প্রতিটি প্রস্তাবে ‘না’ বলছে।”