মার্কিন ফেডারেল রিজার্ভের গভর্নর লিসা কুক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। কুক অভিযোগ করেছেন, ট্রাম্প বেআইনিভাবে তাকে পদ থেকে সরানোর চেষ্টা করছেন। এই মামলার ফলে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের স্বাধীনতা নিয়ে বড় ধরনের আইনি লড়াই শুরু হতে পারে। খবর বিবিসির।

কুক আদালতের কাছে ট্রাম্পের বরখাস্তের আদেশকে “অবৈধ ও অকার্যকর” ঘোষণা করার আবেদন করেছেন। মামলায় ফেড চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েল ও বোর্ড অব গভর্নর্সকেও বিবাদী করা হয়েছে।

ট্রাম্পের দাবি, কুক মর্টগেজ সংক্রান্ত মিথ্যা তথ্য দিয়েছেন এবং সাংবিধানিক ক্ষমতা অনুযায়ী তিনি তাকে অপসারণ করতে পারেন। তিনি সম্প্রতি ফেডের ওপর সুদের হার কমানোর জন্য চাপ বাড়িয়েছেন। কুক যুক্তরাষ্ট্রে সুদের হার নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা বোর্ডের সদস্য।

কুকের আইনজীবী অ্যাবে লোয়েল মামলায় লিখেছেন, “এটি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নজিরবিহীন ও বেআইনি প্রচেষ্টা, যা অনুমোদিত হলে ফেড বোর্ডের ইতিহাসে প্রথম হবে। এটি ফেডারেল রিজার্ভ আইনের পরিপন্থী।”

হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র কুশ দেশাই বিবিসিকে বলেছেন, প্রেসিডেন্ট বৈধ কর্তৃত্ব প্রয়োগ করে কুককে সরিয়েছেন। তার ভাষায়, “যে গভর্নর আর্থিক নথিতে মিথ্যা বলার অভিযোগে অভিযুক্ত, তাকে অপসারণ করাই বাজার ও জনগণের কাছে ফেডের জবাবদিহি ও বিশ্বাসযোগ্যতা নিশ্চিত করবে।”

অভিযোগের সূত্রপাত হয় ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ হাউজিং ফাইন্যান্স নিয়ন্ত্রক বিল পুল্টের এক খোলা চিঠি থেকে। সেখানে কুককে দুটি ভিন্ন রাজ্যের বাড়িকে একসঙ্গে “প্রধান বাসস্থান” হিসেবে দেখিয়ে মর্টগেজ সুবিধা নেওয়ার অভিযোগ আনা হয়। তবে কুকের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো অভিযোগ গঠন হয়নি।

উল্লেখ্য, কুক ফেড বোর্ডের সাত সদস্যের একজন এবং যারা যুক্তরাষ্ট্রে সুদের হার নির্ধারণ করে সেই ১২ সদস্যের কমিটিতে তিনি রয়েছেন।