‘লাল গালিচায়’ কয়েক সেকেন্ড হাঁটলেই ইমিগ্রেশন পার, দেখাতে হবে না পাসপোর্ট

বিমানবন্দরে ইমিগ্রেশন পার হতে কতই না ঝক্কিঝামেলা পোহাতে হয়। যদি চোখের পলকেই পার হওয়া যেত ইমিগ্রেশন, তাহলে কতই না ভালো হতো! মানুষের এমন কল্পনাকেই বাস্তবে রূপ দিয়েছে দুবাই বিমানবন্দর। তাদের অভিনব প্রযুক্তি ‘রেড কার্পেটে’ (লাল গালিচা) হাঁটলেই চোখের পলকে সম্পন্ন হবে ইমিগ্রেশনের যাবতীয় সকল কার্যক্রম।
সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে এমন তথ্যই জানিয়েছে গালফ নিউজ।
গালফ নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়, দুবাই বিমানবন্দরে যাত্রীদের ইমিগ্রেশনের জন্য পাসপোর্ট, বোর্ডিং পাস দেখানোর কোনো প্রয়োজন হচ্ছে না। এমনকি লাইনেও দাঁড়াতে হচ্ছে না। শুধুমাত্র স্মার্ট করিডর অর্থাৎ ‘রেড কার্পেটের’ ওপর হেঁটে গেলেই স্বয়ংক্রিয়ভাবে সকল তথ্য রেকর্ড হয়ে যাচ্ছে। জেনারেল ডিরেক্টরেট অব রেসিডেন্সি অ্যান্ড ফরেনার্স অ্যাফেয়ার্সের (জিডিআরএফএ) সঙ্গে মিলে বিশ্বে প্রথমবারের মতো এমন যুগান্তকারী প্রযুক্তি নিয়ে এসেছে দুবাই বিমানবন্দর।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এমন উদ্যোগ যাত্রীদের ইমিগ্রেশন অভিজ্ঞতাকে আরও সহজ করে তুলবে।
জিডিআরএফএ দুবাই বিমানবন্দর বিষয়ক সহকারী উপ-মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার ওয়ালিদ আহমেদ সাঈদ বলেন, এই পরিষেবাটি বিশ্বে প্রথমবারের মতো চালু হয়েছে। কোনো প্রকারের নথি প্রদর্শন ছাড়াই এটি ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করবে। শুধু এই করিডর দিয়ে হাঁটলেই ইমিগ্রেশন হয়ে যাবে।
গালফ নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়, যাত্রীরা ‘রেড কার্পেটে’ হেঁটে গেলেই এআই অর্থাৎ আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ও বায়োমেট্রিক ক্যামেরার সহায়তায় সকল তথ্য রেকর্ড হয়ে যাবে। কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই যাত্রীর পরিচয়, বুকিংসহ ইমিগ্রেশন ত্যাগ করার সকল কার্যক্রম সম্পন্ন হয়ে যাবে।
যাত্রীরা এমন প্রযুক্তিকে ‘জাদুর মতো’ বলে তাদের অভিব্যক্তি প্রকাশ করছেন বলে গালফ নিউজের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

বর্তমানে এমন প্রযুক্তির ব্যবহার শুধুমাত্র দুবাই বিমানবন্দরের টার্মিনাল-৩ এ ব্যবহার করা হলেও খুব শিগগিরই এটি অন্যান্য টার্মিনালেও শুরু করা হবে।
ব্রিগেডিয়ার ওয়ালিদ আহমেদ সাঈদ বলেন, এটি শুধুমাত্র একটি করিডর নয় বরং এটি সারা বিশ্বকে দুবাইয়ের পক্ষ থেকে বার্তা ভবিষ্যতের যাত্রা এখান থেকেই শুরু হয়ে গেছে।