গাজাবাসীর উচ্ছেদকে ‘রেডলাইন’ হিসাবে দেখছে মিশর-কাতার

গাজায় চলমান ইসরায়েলি গণহত্যা ও মানবসৃষ্ট দুর্ভিক্ষের পাশাপাশি ফিলিস্তিনিদের বাস্তুচ্যুতির বিষয়ে তীব্র নিন্দা জানিয়েছে দুই আরব দেশ মিশর ও কাতার। শুক্রবার (৫ই সেপ্টেম্বর) দুই দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পৃথক বিবৃতিতে এই নিন্দা জানানো হয়।
মিশরের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ফিলিস্তিনিদের বাস্তুচ্যুতির বিষয়টিকে ‘রেডলাইন’ হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে। তারা বলেছে, রাফাহ ক্রসিংসহ ফিলিস্তিনিদের জোরপূর্বক তাদের ভূমি থেকে উচ্ছেদ করা কখনোই মেনে নেওয়া হবে না।
বিবৃতিতে মন্ত্রণালয় আরও জানায়, ফিলিস্তিনিদেরকে তাদের ভূমি থেকে জোরপূর্বক উচ্ছেদ করার অধিকার কাউকে দেওয়া হয়নি। মিশর এই ধরনের কর্মকাণ্ডে কখনোই সমর্থন দেবে না।
দুই দেশের এই কড়া অবস্থানের কারণ ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর একটি বিতর্কিত মন্তব্য। ইসরায়েলি টেলিগ্রাম চ্যানেল ‘আবু আলি এক্সপ্রেসকে’ দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি দাবি করেন, গাজার জনসংখ্যার অর্ধেক গাজা ছেড়ে যেতে চায়। তিনি আরও বলেন, তাদের পরিকল্পনা ফিলিস্তিনিদের জোর করে বাস্তুচ্যুত করা নয়, বরং তাদের ‘স্থানান্তর’ করা।
নেতানিয়াহুর এই মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করে কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও একটি বিবৃতি দেয়। বিবৃতিতে বলা হয়, দখলদার বাহিনীর সম্প্রসারণবাদী নীতি ফিলিস্তিনি জনগণকে তাদের ভূমি ত্যাগ করতে বাধ্য করতে বা তাদের বৈধ অধিকার কেড়ে নিতে সফল হবে না, কারণ ফিলিস্তিনি জনগণ ‘আমাদের ভাই’।

দুই দেশের বিবৃতিতে আরও জোর দিয়ে বলা হয়েছে , এই অঞ্চলে গণহত্যা অব্যাহত রাখার বিষয়ে চরমপন্থি ও উসকানিমূলক ইসরায়েলি দখলদারিত্বের নীতির বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।