সন্দেহভাজন হুতি ড্রোন হামলায় কাঁপল ইসরায়েলের এলাত শহর

পূর্ব দিক থেকে আসা একটি ড্রোন স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর এলাতে আঘাত হেনেছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। এতে কিছু স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হলেও হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ড্রোনটি শহরের হোটেল জোন এলাকায় পড়ে। খবর আল জাজিরার।
এটি ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীদের সর্বশেষ হামলা বলেই ধারণা করা হচ্ছে। ইসরায়েল একাধিকবার ইয়েমেনের ভেতরে বিমান হামলা চালিয়েছে।
গত ৯ সেপ্টেম্বর কাতারে বোমা বর্ষণের পর থেকে ইসরায়েল ইয়েমেনে হামলা আরও বাড়িয়ে দেয়। এতে বেশ কয়েকজন মানুষ নিহত হয়।
ড্রোন হামলার আগে মঙ্গলবার ইয়েমেনের হোদেইদা বন্দরে অন্তত ১২টি বিমান হামলা চালায় ইসরায়েল। আগস্টের শেষ দিকে ইসরায়েলি বিমান হামলায় রাজধানী সানার হুতি সরকারের প্রধানমন্ত্রী আহমেদ আল-রাহাওয়িও নিহত হন।
হুতিদের দাবি, গত সপ্তাহে ইসরায়েলি বিমান হামলায় রাজধানী সানা ও উত্তরাঞ্চলীয় আল-জওফ প্রদেশে অন্তত ৪০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়।
২০২৩ সালের অক্টোবরে গাজায় ইসরায়েলের গণহত্যামূলক যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে হুতিরা বারবার ইসরায়েলের দিকে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করছে। তাদের বক্তব্য—এটি ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতির অংশ। একইসঙ্গে তারা লোহিত সাগরে নৌযানগুলোকেও লক্ষ্যবস্তু করেছে।
এর জেরে শুধু ইসরায়েল নয়, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যও ইয়েমেনে হামলা চালিয়েছিল। তবে চলতি বছরের মে মাস থেকে এই দুই দেশ কোনো আক্রমণ চালায়নি। এর আগে যুক্তরাষ্ট্র হুতিদের সঙ্গে একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে পৌঁছেছিল।

২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে রাজধানী সানা দখলের পর থেকে হুতিরা ইয়েমেনের উত্তরাঞ্চলের বড় অংশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। বহু বছর ধরে তারা আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সরকার ও সৌদি নেতৃত্বাধীন জোটের বিরুদ্ধে লড়াই করছে। যদিও ২০২২ সাল থেকে যুদ্ধক্ষেত্রে বড় কোনো পরিবর্তন নেই।