ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়া শুধু সময়ের ব্যাপার : জাপানের প্রধানমন্ত্রী

ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে জাপানের স্বীকৃতি দেওয়া কেবল সময়ের ব্যাপার বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী ইশিবা শিগেরু। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে ভাষণ দেওয়ার সময় তিনি একথা জানান। খবর বার্তা সংস্থা এএফপির।
গাজায় প্রায় দুই বছরের ইসরায়েলি আগ্রাসনের পর এই সপ্তাহে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে যুক্তরাজ্য, কানাডা ও ফ্রান্সসহ বেশ কয়েকটি দেশ। বর্তমানে জাতিসংঘের প্রায় ৮০ শতাংশ সদস্য দেশ ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিয়েছে।
ইশিবা বলেন, ইসরায়েলি সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা যেভাবে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠনের ধারণাকে সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাখ্যান করছেন, তাতে আমি তীব্র ক্ষুব্ধ। আমাদের দেশের জন্য প্রশ্নটি হলো, ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেব কি না, তা নয়; বরং কখন দেব। ইসরায়েলি সরকারের অব্যাহত একতরফা পদক্ষেপ কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না।
জাপানের প্রধানমন্ত্রী স্পষ্ট করে জানান, যদি ইসরায়েল দ্বিরাষ্ট্র সমাধানের পথ রুদ্ধ করার জন্য আরও পদক্ষেপ নেয়, তাহলে জাপান এর প্রতিক্রিয়ায় নতুন ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবে।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের নজিরবিহীন হামলার পর গাজায় সামরিক অভিযান শুরু করে ইসরায়েল। ইসরায়েলের সরকারি তথ্য অনুযায়ী, হামাসের ওই হামলায় ১ হাজার ২১৯ জন ইসরায়েলি নিহত হন। অন্যদিকে হামাস-শাসিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, প্রায় দুই বছরের ইসরায়েলি আগ্রাসনে ৬৩ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
জি৭ সদস্যভুক্ত দেশ হিসেবে জাপান যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ মিত্র। জাপানে প্রায় ৫৪ হাজার মার্কিন সামরিক সদস্য অবস্থান করছেন। এশিয়ার অন্যান্য দেশগুলোর মধ্যে দক্ষিণ কোরিয়া এবং সিঙ্গাপুর এখনও ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া থেকে বিরত রয়েছে।

ইশিবা তার ভাষণে আরও বলেন, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো ফিলিস্তিন যাতে একটি টেকসই রাষ্ট্র হিসেবে ইসরায়েলের পাশে শান্তিতে সহাবস্থান করতে পারে। একই সঙ্গে তিনি ফিলিস্তিনিদের প্রতি আহ্বান জানান, তারা যেন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দায়িত্বশীল দেশ হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠা করতে একটি জবাবদিহিমূলক শাসন ব্যবস্থা গড়ে তোলে।