‘ফিলিস্তিনের জলসীমায় ইসরায়েলের কর্তৃত্ব নেই‘

গাজাগামী ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’র ত্রাণবাহী নৌবহরে ইসরায়েলের হামলা ও আগ্রাসনের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ফিলিস্তিন। আজ বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, ফিলিস্তিনি জলসীমার ওপর ইসরায়েলের কোনো কর্তৃত্ব বা সার্বভৌমত্ব নেই। খবর আলজাজিরার।
এখন পর্যন্ত গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার অন্তত ২১টি নৌযান আটক করেছে ইসরায়েলি নৌবাহিনী।
ফিলিস্তিনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিবৃতিতে বলছে, ইসরায়েলের ফিলিস্তিন দখলকে অবৈধ ঘোষণা করেছে আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে)। সুতারং ফিলিস্তিনি জলসীমার ওপর ইসরায়েলের কোনো কর্তৃত্ব বা সার্বভৌমত্ব নেই।
নৌযানে থাকা ব্যক্তিদের নিরাপত্তা নিয়ে গভীর উদ্বেগ এবং তাদের নিরাপত্তা ও সুস্থতার জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করেছে ফিলিস্তিন। মন্ত্রণালয় বলছে, ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’ একটি শান্তিপূর্ণ ও বেসামরিক উদ্যোগ, যার লক্ষ্য ইসরায়েলের অমানবিক ও অবৈধ অবরোধ ভেঙে তাদের ‘ক্ষুধার নীতি‘ ও গণহত্যা বন্ধ করা।
বিবৃতির শেষে ‘সাহসী অংশগ্রহণকারী’ এবং ইসরায়েলের অবরোধ ভাঙতে তাদের দৃঢ় সংকল্পের প্রশংসা করেছে ফিলিস্তিন।
গত ৩০ আগস্ট নৌযানের সমন্বয়ে গঠিত ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা‘ গাজার ওপর ইসরায়েলের অবরোধ ভাঙতে এবং সেখানে মানবিক সহায়তা পৌঁছাতে যাত্রা শুরু করেছিল। গতকাল বুধবার থেকে ইসরায়েলি নৌবাহিনী ভূমধ্যসাগরে নৌযানগুলোকে আটক করা শুরু করে। এই অভিযানে ইসরায়েল গ্রেটা থুনবার্গসহ বহু অধিকারকর্মীকে আটক করে। ফ্লোটিলার আয়োজকরা দাবি করেছেন, নৌযানগুলো আন্তর্জাতিক জলসীমায় থাকাকালীনই ইসরায়েলি বাহিনী তাদের ওপর হামলা চালিয়েছে।

ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তারা আটক করা অধিকারকর্মীদের দেশটির আশদোদ বন্দরের দিকে নিয়ে যাচ্ছেন। সেখান থেকে তাদের ইউরোপে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হবে। এই ঘটনায় তুরস্ক, যুক্তরাজ্য, কলম্বিয়া, অস্ট্রেলিয়াসহ বিভিন্ন দেশ তীব্র নিন্দা জানিয়েছে।