নারায়ণগঞ্জের কারখানায় এখনও আগুন জ্বলছে, নিখোঁজদের সন্ধানে স্বজনেরা
![](http://103.16.74.218/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2021/07/09/n_t.jpg)
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলায় সেজান জুস কারখানায় গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের পর থেকে এখনও আগুন জ্বলছে। আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণের জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। এরই মধ্যে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় গুরুতর আহত আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে নিহতের সংখ্যা দাঁড়াল তিন জনে। এ ছাড়া আরও অন্তত ২০ জনের মতো আহত হয়েছে বলে জানা গেছে।
নিহত তিন জনের মধ্যে দুজন শ্রমিকের নাম-পরিচয় জানা গেছে। তাঁরা হলেন স্বপ্না রানী (৪৫) ও মিনা আক্তার (৩২)।
এদিকে, আজ শুক্রবার সকাল থেকে ঘটনাস্থলে গিয়ে নিখোঁজ ব্যক্তিদের সন্ধানে আহাজারি করছেন স্বজনেরা। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
পুলিশ সুপার (এসপি) জায়েদুল আলম জানান, তিন জনের পর আর কোনো লাশের সন্ধান পাওয়া যায়নি। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় জেলা প্রশাসন ও ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে আলাদা তদন্ত কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া চলছে।
![](http://103.16.74.218/sites/default/files/styles/infograph/public/images/2021/07/09/n_i.jpg 687w)
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার গাউসিয়া এলাকায় হাশেম ফুডস লিমিটেডের সেজান জুস কারখানায় গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে ভয়াবহ এই অগ্নিকাণ্ড ঘটে। এরপর দুজন শ্রমিকের মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়। এ ছাড়া আরও অন্তত ২০ জন আহত হন বলে জানা গেছে।
জানা গেছে, গতকাল বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে কারখানার ছয়তলা ভবনের নিচতলা থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। এরপর আগুন দ্রুত দোতলা ও তিনতলায় ছড়িয়ে পড়ে। কর্মরত শ্রমিকেরা তখন ছাদে গিয়ে আশ্রয় নেন। ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা গিয়ে মইয়ের সাহায্যে ছাদে আটকে পড়া ১২ শ্রমিককে উদ্ধার করেন। এ ছাড়া একতলা ও দোতলা থেকে কিছু সংখ্যক শ্রমিক প্রাণ বাঁচাতে ঝাঁপ দিয়ে কম-বেশি আহত হয়েছেন বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন।
এর মধ্যে ফায়ার সার্ভিসের ১১টি ইউনিট রাত ৯টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে চারতলায় গিয়ে আগুনের লেলিহান শিখা বেড়ে যায়। আগুন নিয়ন্ত্রণে যোগ দেয় আরও ছয়টি ইউনিট।