ময়মনসিংহ মেডিকেলের করোনা ইউনিটে আরও ২৩ জনের মৃত্যু

ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালের করোনা ইউনিটে আরও ২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে সাত জন করোনা পজিটিভ ছিলেন। অপর ১৬ জন করোনার উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। এ ছাড়া জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় ৪৯৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
মমেক হাসপাতালের মেডিসিন ইউনিটের কনসালটেন্ট ও করোনা ইউনিটের মুখপাত্র ডা. মো. মহিউদ্দিন খান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে হাসপাতালের করোনা ইউনিটে রোগীদের চাপ অনেক বেড়েছে। বর্তমানে নির্ধারিত শয্যার চেয়ে দ্বিগুণ সংখ্যক রোগী ভর্তি রয়েছে। চাপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
ডা. মহিউদ্দিন খান জানান, করোনা ইউনিটে মোট ২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাঁদের মধ্যে করোনায় মারা যাওয়া ব্যক্তিরা হলেন ময়মনসিংহ সদর উপজেলার মো. আবিদ মিয়া (৪৫), মাহবুব (৪০), লাইলী বেগম (৫০), ঈশ্বরগঞ্জের আলতাফ উদ্দিন (৮৫), হালুয়াঘাটের আবুল হোসেন (৭০), নেত্রকোনা সদরের রাজা আলী (৭০) ও মোহনগঞ্জের বিউটি আক্তার (৫০)।
এ ছাড়া করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়া ব্যক্তিরা হলেন ময়মনসিংহ সদরের আব্দুল মজিদ (৫৫), গিয়াসউদ্দিন (৬৫), মুক্তাগাছার আব্দুল খালেক (৬০), রবি সেন (৬০), ঈশ্বরগঞ্জের আব্দুল হাই (৭০), গফরগাঁওয়ের নূরজাহান (৭০), ফুলপুরের সূরুজ আলী (৬০), তারাকান্দার আব্দুল হাকিম (৭০), আব্দুল জব্বার (৬৩), ফুলবাড়িয়ার মকবুল হোসেন (৬৫), নেত্রকোনার অলি (১৭), জামালপুর সদরের গাজিবুর (৬৫), সরিষাবাড়ীর সেতারা (৫০), দেওয়ানগঞ্জের আফসার আলী (৬৫), গাজীপুর সদরের সাজেদা আক্তার (৩০) ও শ্রীপুরের মালেকা বানু (৭০)।
ডা. মহিউদ্দিন খান আরও জানান, হাসপাতালের করোনা ইউনিটে বর্তমানে মোট ৫৩৫ জন রোগী ভর্তি রয়েছে। এর মধ্যে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) ভর্তি রয়েছে ২৫ জন।
এদিকে, গতকাল রোববার দিবাগত রাতে সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় র্যাপিড অ্যান্টিজেন ও আরটি-পিসিআর টেস্টে মোট ৪৯৫ জনের করোনা শনাক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টে ২৫৮ জনের ও আরটি-পিসিআর টেস্টে ২৩৭ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
জেলার সর্বশেষ করোনা টেস্টের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ময়মনসিংহ সদরের ২৭৯ জন, নান্দাইলের ১৪ জন, ঈশ্বরগঞ্জের ১৫ জন, গৌরীপুরের ২১ জন, ফুলপুরের পাঁচ জন, তারাকান্দার সাত জন, হালুয়াঘাটের ২১ জন, ধোবাউড়ার পাঁচ জন, মুক্তাগাছার ৩২ জন, ফুলবাড়িয়ার ১৬ জন, ত্রিশালের ২৫ জন ও ভালুকার ২৫ জন ও গফরগাঁওয়ের ৩০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
এখন পর্যন্ত জেলায় মোট ১৫ হাজার ৫৪৭ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ ছাড়া করোনায় মারা গেছেন ১৬০ জন। এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছে ১১ হাজার ৫০৯ জন। বর্তমানে চার হাজার ৩৮ জন রোগী জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে ও বাড়িতে চিকিৎসা নিচ্ছে।