সাবেক ছাত্রলীগনেতা সজিব ও ইফতির তিন দিনের রিমান্ড
কুষ্টিয়ায় ৯ টুকরো করে মিলন হোসেন নামে (২৫) এক যুবককে হত্যার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে গ্রেপ্তার জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি এস কে সজিব ও তার সহযোগী ইফতিকে তিন দিনের রিমান্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
আজ মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সদর মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সাজু মোহন সাহা চার দিনের রিমান্ড আবেদন করেন অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদা সুলতানার আদালতে।
আদালত শুনানি শেষে বিকেলে তিন দিনের রিমান্ড আদেশ দিয়েছেন বলে নিশ্চিত করেন সদর থানা সংশ্লিষ্ট আদালত পুলিশের এসআই ইস্কান্দার আলী।
গত ৩ ফেব্রুয়ারি এই হত্যার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে শহরের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে সাবেক ছাত্রলীগনেতা ও কিশোর গ্যাং লিডার হিসেবে পরিচিত এস কে সজিবসহ তাঁর গ্যাংয়ের ছয় সদস্যকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করে পুলিশ। গত ৪ ও ৫ ফেব্রুয়ারি গ্রেপ্তার হওয়া লিংকন, জনি, ফয়সাল ও সজল আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিলেও তাদের লিডার এস কে সজিব ও ইফতি আদালতে দায় স্বীকার না করায় তাঁদের পুনরায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ।
গত ে৩১ জানুয়ারি সকাল ১১টায় মিলন হোসেন বাসা থেকে বের হয়ে আর না ফিরলে তাঁর স্ত্রী মিমু খাতুন সদর মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। এরপর একটি মোবাইল ফোন নম্বরের সুত্র ধরে তাকে উদ্ধারে মাঠে নামে পুলিশ। গত শুক্রবার এই ঘটনায় জড়িত ছাত্রলীগের সাবেক নেতা এস কে সজিবকে আটকের পর তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিত্বে রাতভর কুষ্টিয়ার হাটশ হরিপুর ইউনিয়নের পদ্মার চরে অভিযান চালিয়ে শনিবার সকাল ৯টার দিকে মিলনের মরদেহের ৯টি টুকরো উদ্ধার করে পুলিশ। চাঁদার টাকা না দেওয়ায় তাঁকে ডেকে নিয়ে মারধরের পর হত্যা করে মরদেহ টুকরো টুকরো করে পদ্মা নদীর চরে পুতে রেখেছিল বলে স্বীকার করেন আসামিরা।
নিহত মিলন হোসেন দৌলতপুর উপজেলার বাহিরমাদি গ্রামের মাওলা বক্স সরদারের ছেলে। স্ত্রী মিমু খাতুনকে নিয়ে তিনি শহরের হাউজিং এলাকার ই ব্লকে ভাড়া থাকতেন। টেক্সটাইল প্রকৌশলে পড়াশোনার পাশাপাশি অনলাইনে আউটসোর্সিংয়ের কাজ করতেন তিনি।