শহীদ মিনারে দুজনকে মারধর, ভিডিও করায় সাংবাদিককে পিটুনি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে শহীদ মিনারে ফুল দেওয়ার সময় কয়েকজনকে মারধরের ঘটনা ঘটে। সেই ভিডিওচিত্র ধারণ করায় সাংবাদিক আব্দুল্লাহ আল মাহমুদকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে।
গতকাল একুশের প্রথম প্রহরে (রাত সোয়া ১২টার দিকে) নাসিরনগর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকায় এসব ঘটনা ঘটে। পুলিশ আহত সাংবাদিক আব্দুল্লাহ আল মাহমুদকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসা শেষে তাকে বাড়িতে নেওয়া হয়।
আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ এনটিভি অনলাইনের নাসিরনগর ও সরাইল উপজেলা এবং দৈনিক কালবেলার প্রতিনিধি। তিনি জানান, নাসিরনগর প্রেসক্লাবের সদস্যদের সঙ্গে শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে গিয়েছিলাম। সেখানে জাতীয় নাগরিক কমিটির দুজনকে পেটানো হচ্ছিল। এর ফুটেজ নেওয়ার সময় রড, চাপাতি ইত্যাদি দেশীয় অস্ত্র দিয়ে তার ওপর হামলা হয়। এ সময় তার মুঠোফোনও কেড়ে নেয় হামলাকারীরা।
জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখপাত্র সালাহউদ্দিন সিফাত এনটিভি অনলাইনকে তাদের দুই সদস্যের ওপর হামলার ঘটনার তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি আরও বলেন, এই ভিডিওচিত্র সংগ্রহের সময় কালবেলা ও এনটিভি অনলাইনের এক সংবাদিককেও পিটিয়েছে হামলাকারীরা।
জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মুখ্য সংগঠক আতাউল্লাহ এনটিভি অনলাইনকে জানান, তাদের দুই কর্মীকে পেটালে পুলিশ তাদেরকে থানার একটি কক্ষে নিয়ে বসিয়ে রাখে। এ সময় জানানো হয় যে, তাদের ওপর যেন আর হামলা না হয়, সেজন্য থানাতে আনা হয়েছে। তবে, আজ জি এম সোহেল আহমেদকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে থানায় চালান করা হয়েছে। আতাউল্লাহ আরও জানান, হামলার চিত্র ধারণের সময় এনটিভি অনলাইন ও কালবেলার স্থানীয় প্রতিনিধি আব্দুল্লাহকেও পিটিয়ে আহত করেছে হামলাকারীরা।
নাসিরনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডা. আবুল বাশার গণমাধ্যমকে জানান, মাহমুদের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খায়রুল আলম এনটিভি অনলাইনকে বলেন, সাংবাদিক মাহমুদের ওপর হামলা হয়েছে বলে শুনেছি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আহত আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ সন্ধ্যা সোয়া ৭ টার দিকে জানান, তিনি থানায় অভিযোগ করেছেন। এজহারে বশির উদ্দিন তুহিন, মারজান খাঁ, নাসির খাঁ, স্বাধীন আলী, শামিমুল ইসলামসহ অজ্ঞাতনামা ২০ থেকে ৩০ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
পরে এ বিষয়ে জানতে বারবার চেষ্টা করা হলেও ওসির সঙ্গে যোগাযোগ সম্ভব হয়নি।