অপহরণের পর বিক্রি: অপহৃত শিশু উদ্ধার, গ্রেপ্তার ২

সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে ৮ মাস বয়সী শিশু দিঘী মনিকে অপহরণের পর ৮০ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পরে তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে অপহৃত দিঘী মনিকে যশোহর থেকে উদ্ধার করা হয়।
আজ সোমবার (৭ এপ্রিল) দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন রায়গঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান।
এর আগে গতকাল সোমবার (৬ এপ্রিল) রাতে যশোর জেলার কোতয়ালি থানার তালবাড়িয়া গ্রামের সামিউল ইসলামের বাড়ি থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়।
গ্রেপ্তার দুজন হলেন- বগুড়া জেলার ধুনট থানার চরখাদুলী গ্রামের গোলদার শেখের ছেলে কালাম শেখ (৪০) ও একই থানার কুড়িগাতী গ্রামের মৃত রইচ উদ্দিনের ছেলে হারুন অর রশিদ (৪৪)।
ওসি আসাদুজ্জামান জানান, অপহৃত শিশুটির পরিবার রায়গঞ্জ উপজেলার রনতিথা গ্রামে বাদশা মিয়ার বাড়িতে ভাড়া থাকতো। গ্রেপ্তার কালাম শেখ অপহৃত শিশুটির মায়ের পূর্বপরিচিত। কালাম শেখ গত ৩০ মার্চ শিশু দিঘী মনির বাড়িতে আসে এবং শিশুটির মা মরিয়ম খাতুনকে ঘোল (মাঠা) পান করিয়ে দিঘী মনিকে অপহরণ করে নিয়ে যায়।
এ ঘটনায় শিশুটির মা কালাম শেখকে আসামি করে রায়গঞ্জ থানায় মামলা করেন। অপহৃত শিশুটিকে উদ্ধার ও অপহরণের সাথে জড়িতদের শনাক্ত করতে সিরাজগঞ্জ পুলিশ সুপার ফারুক হোসেন একটি টিম গঠন করেন। পুলিশ তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে ঘটনার সঙ্গে জড়িত অপহরণকারী কালাম শেখকে গত ৪ এপ্রিল রংপুর থেকে গ্রেপ্তার করে। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে গত ৫ এপ্রিল রায়গঞ্জ থেকে হারুন অর রশিদকে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি জানান, যশোর জেলায় শিশুটিকে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে।
ওসি আসাদুজ্জামান আরও জানান, গতকাল রোববার রাতে যশোর জেলার কোতয়ালি থানার তালবাড়িয়া গ্রামের সামিউল ইসলামের বাড়ি থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়। ৮০ হাজার টাকায় শিশুটিকে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছিল। আইনি প্রক্রিয়া শেষে আজ সোমবার সকালে শিশুটিকে তার মায়ের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।