কিশোরগঞ্জের শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসকদের অবহেলায় আব্দুস সোবহান দুলাল (৬৫) নামে এক রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। আজ বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে হাসপাতালের ৫ম তলায় ৫০৫৯ নম্বর কেবিনে এই ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

জানা গেছে, গত সোমবার পেটের ব্যথা নিয়ে জেলার তাড়াইল উপজেলার চেঙ্গুরিয়া গ্রামের আব্দুস সোবহান দুলাল এই হাসপাতালে ভর্তি হন। ভর্তির পরদিন থেকে তিনি স্বাভাবিক হতে শুরু করেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। রোগীর স্বজনরা কর্তব্যরত নার্সদের শরণাপন্ন হলেও তাদের পাওয়া যায়নি। দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষার পর একজন নার্স এসে অক্সিজেন দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তার মৃত্যু হয়। 

নিহতের ছেলে বাবলু মিয়া বলেন, তার বাবাকে পেটের ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করার পর কিছুটা সুস্থ ছিলেন। আজ দুপুরে হঠাৎ করে বাবার অবস্থার অবনতি হলে শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়। এ সময় কর্তব্যরত নার্সদের খুঁজে পাওয়া যায়নি। অনেকক্ষণ পর একজনকে পাওয়া গেলেও তিনি ডাক্তার নেই বলে বারবার তাদের ফিরিয়ে দেন। এরপর দীর্ঘক্ষণ পর একজন এলে তিনি অক্সিজেন দেওয়ার পরই তার বাবা মারা যান।

নিহতের ভাই অভিযোগ করেন, বারবার ডাক্তারের কাছে যাওয়ার পরও তারা আসেননি এবং তাদের অবহেলায় তার ভাইয়ের মৃত্যু হয়েছে। সেবাতো পাননি বরং তাদেরকে পরিচালকের রুমে নিয়ে আটকে রেখে মারধরের চেষ্টা করা হয়। পরবর্তীতে তারা ৯৯৯ নম্বরে কল করলে পুলিশ তাদের উদ্ধার করে।

কিশোরগঞ্জ শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. নাসিরুজ্জামান নাসির বলেন, এ ব্যাপারে নিহতের স্বজনরা একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন এবং ইতোমধ্যে তদন্ত কমিটি গঠন করা হচ্ছে। তদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পর দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এর আগে গত ১০ ফেব্রুয়ারি হৃদরোগের চিকিৎসা নিতে এই হাসপাতালে ভর্তি হওয়া বিনয় সেন নামে এক রোগী নার্সের ভুল ইনজেকশনে মারা যান বলে অভিযোগ ওঠে। এছাড়া গত ১৫ জানুয়ারি ভুল ইনজেকশন পুশ করায় আরও দুই রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছিল এই হাসপাতালের বিরুদ্ধে।