পাবনায় কলেজ কমিটির নির্বাচন নিয়ে বিএনপি-জামায়াত সংঘর্ষ, আহত ৫

পাবনার আটঘরিয়া উপজেলায় একটি কলেজের অভিভাবক সদস্য পদে মনোনয়ন ফরম তোলা নিয়ে বিএনপি-জামায়াত নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। সংঘর্ষে বিএনপি ও জামায়াতের অফিস ও কয়েকটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়। এ ঘটনা উভয়পক্ষের কয়েকজন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ৫ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৫ মে) সন্ধ্যা পর্যন্ত দফায় দফায় এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ ও স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয়রা জানান, আটঘরিয়ার দেবোত্তর ডিগ্রি কলেজের ম্যানেজিং কমিটির অভিভাবক সদস্য নির্বাচনের জন্য কলেজ থেকে তফসিল ঘোষণা করা হয়। অভিভাবক সদস্য মনোনয়নপত্র তোলার শেষদিন ছিল বৃহস্পতিবার।

এদিন দুপুরে আটঘরিয়া উপজেলা বিএনপি সমর্থিত তিনজন অভিভাবক মনোনয়নপত্র উত্তোলন করেন। কিছুক্ষণ পর জামায়াতে ইসলামীর বেশকিছু নেতাকর্মী গিয়ে তাদের মনোনীত একজনের মনোনয়নপত্র চান। এ সময় বিএনপির পক্ষ থেকে বাধা দেওয়া হয়। এ নিয়ে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীদের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও ধস্তাধস্তি হয়। খবর পেয়ে উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে জামায়াতে ইসলামী, ছাত্র শিবিরসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী সমর্থক দেবোত্তর বাজারে জড়ো হয়। তারা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে দেবোত্তর বাজার ঘুরে উপজেলা বিএনপির কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে।
প্রতিবাদে বিএনপির নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল বের করে বাজার প্রদক্ষিণ করার পর উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে। এসময় উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। উভয়পক্ষের কয়েকজন আহত হয়। খবর পেয়ে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
আটঘরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুজ্জামান সরকার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, দেবোত্তর ডিগ্রি কলেজের কমিটি গঠনকে কেন্দ্র জামায়াতের লোকজন বিএনপির লোকজনের ওপর প্রথমে মারপিট করে। এ নিয়ে শুরু হয় দুই পক্ষের সংঘর্ষ। এতে উভয় পক্ষের প্রায় ২০ জন আাহত হয়েছে। আহতদের আটঘরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। আমরা এসে দুই পক্ষকে শান্ত করি। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।