বাসচাপায় নিহত মোটরসাইকেল আরোহী, আগুন দিলো বিক্ষুব্ধ জনতা

গোপালগঞ্জে বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে রবীন্দ্রনাথ সরকার (৬০) নামে এক মোটরসাইকেল আরোহী ফার্নিচার ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন মোটরসাইকেল চালক মিল্টু বিশ্বাস (৫৫)। দুর্ঘটনার পর ঘাতক বাসটিতে আগুন দেয় বিক্ষুব্ধ জনতা।
আজ মঙ্গলবার (২০ মে) দুপুরে গোপালগঞ্জ-টেকেরহাট আঞ্চলিক মহাসড়কে সদর উপজেলার সাতপাড় বাজারে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত রবীন্দ্রনাথ মুকসুদপুর উপজেলার ভাবরাসুর ইউনিয়নের বাককুড়া গ্রামের মৃত সুনীল সরকারের ছেলে। তিনি ফার্নিচার ব্যবসায়ী ছিলেন এবং গোপালগঞ্জ শহরের পারহাউজ রোডে ভাড়া বাড়িতে পরিবার নিয়ে বসবাস করতেন।
বৌলতলী তদন্ত কেন্দ্রের আইসি মোল্যা আফজাল হোসেন জানান, খুলনা থেকে ছেড়ে আসা বরিশালগামী নয়ন পরিবহণের একটি বাস দুপুর ১২টার দিকে সাতপাড় এলাকায় থামিয়ে যাত্রী উঠাচ্ছিল। বাসটির পিছনে মোটরসাইকেল থামিয়ে দাঁড়িয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথ ও মিল্টু। এসময় পিছন দিক থেকে আসা টেকেরহাটগামী রিয়াদ পরিবহণের একটি লোকাল বাস মোটরসাইকেলটিকে ধাক্কা দেয়। এতে দুটি বাসের মধ্যে চাপা পড়ে মোটরসাইকেলের দুই আরোহী। ঘটনাস্থলেই বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে রবীন্দ্রনাথ নিহত হন। গুরুতর আহত হন অপর আরোহী মিল্টু। তাকে উদ্ধার করে গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এদিকে দুর্ঘটনার পর বিক্ষুব্ধ জনতা বাসটিতে আগুন ধরিয়ে দেয়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে পৌছে স্থানীয়দের সহযোগিতায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনার পর ওই সড়কে প্রায় ১ ঘণ্টা যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকে। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনলে দুপুর ১টার দিকে যান চলাচল শুরু হয়।
নিহতের মেয়ে চন্দ্রিমা সরকার জানান, সকালে গ্রামের বাড়ি মুকসুদপুরের উদ্দেশে গোপালগঞ্জ শহরের পারহাউজ রোডের ভাড়া বাসা থেকে মোটরসাইকেলে করে রওনা দেন। পথিমধ্যে বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই বাবা রবীন্দ্রনাথের মৃত্যু হয়।