আফগানিস্তানে শক্তিশালী ভূমিকম্পে নিহত ২০, নিখোঁজ অনেক

আফগানিস্তানের পূর্বাঞ্চলে ৬.০ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে অন্তত ২০ জন নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন শতাধিক মানুষ। আহতদের অনেককে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় বহু মানুষ নিখোঁজ রয়েছেন। খবর বিবিসির।
তালেবান সরকারের কর্মকর্তারা বিবিসিকে জানিয়েছে, বহু বাড়িঘর ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
ভূমিকম্পটি ভূ-পৃষ্ঠ থেকে মাত্র ৮ কিলোমিটার গভীরে আঘাত হানে, ফলে ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা বেড়ে যায়। দুর্গম পার্বত্য অঞ্চলে ভূমিধস ও বন্যার কারণে বহু এলাকায় স্থলপথে যাওয়া সম্ভব নয়, শুধুমাত্র আকাশপথে পৌঁছানো সম্ভব হচ্ছে।
তালেবান কর্তৃপক্ষ আন্তর্জাতিক মানবিক সংস্থাগুলোর কাছে জরুরি ত্রাণ ও উদ্ধার সহায়তা চেয়েছে।
রাজধানী কাবুল থেকে শুরু করে প্রতিবেশী পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদ পর্যন্ত (যা ৩০০ কিলোমিটারেরও বেশি দূরে) ভবন কেঁপে ওঠে বলে জানিয়েছে প্রত্যক্ষদর্শীরা।
কুনার ও নানগারহার প্রদেশের বাসিন্দারা জানিয়েছেন, গত রাতজুড়ে তারা একাধিক আফটারশক অনুভব করেছেন।
নানগারহারের ২৮ বছর বয়সী পোলাদ নুরি বলেন, তিনি ভূমিকম্পের ভয়ে মধ্যরাতে ঘরের বাইরে রাস্তায় দাঁড়িয়ে ছিলেন। তাঁর ভাষায়—“আমি অন্তত ১৩ বার আফটারশক গুনেছি। শত শত মানুষ ঘর ছেড়ে রাস্তায় চলে এসেছে।”
তিনি আরও জানান, জীবনে এত শক্তিশালী ভূমিকম্প তিনি আগে কখনও দেখেননি।
ভয়াবহ ভূমিকম্পের পর উদ্ধার তৎপরতা জোরদার করা হয়েছে। স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ৬টার কিছু পর কুনার প্রদেশের মাজার ভ্যালি থেকে আহতদের মধ্যে শিশুদেরও হেলিকপ্টারে করে হাসপাতালে আনা হয়েছে। তালেবান সরকারের প্রকাশিত ছবি ও ভিডিওতে দেখা গেছে, হেলিকপ্টার থেকে আহতদের অ্যাম্বুলেন্সে স্থানান্তর করা হচ্ছে।

তালেবান প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, শুধুমাত্র মাজার ভ্যালিতেই বেশ কয়েকটি গ্রাম সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস হয়ে গেছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, এই ভ্যালিতেই শতাধিক মানুষ নিহত ও আহত হয়েছেন।
দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় বহু গ্রাম ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়েছে বলে একাধিক সূত্র জানিয়েছে।