কাঠের সেতু ভেঙে চলাচল বন্ধ, দুর্ভোগে ১৫ গ্রামের মানুষ

সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলার দক্ষিণ অঞ্চলের মানুষ দীর্ঘদিন ধরে এক চরম দুর্ভোগের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। বাঘুটিয়া ইউনিয়নের রেহাইপুখুরিয়া বাজার সংলগ্ন খালের ওপর দীর্ঘদিন ধরে কাঠের অস্থায়ী কাঠের সেতুই একমাত্র ভরসা। কংক্রিটের সেতু না থাকায় বর্ষা মৌসুম এলেই দুর্ভোগের মাত্রা ভয়াবহ আকার ধারণ করে।
খালের ওপর নির্মিত বাঁশের খুঁটি আর কাঠ দিয়ে তৈরি সেতুটি ভেঙে পড়ায় উপজেলার দক্ষিণাংশের অন্তত ১৫ গ্রামের মানুষের যাতায়াত কার্যত বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে রেহাইপুখুরিয়া, চরনাকালিয়া, উত্তরপাড়া, বাঘুটিয়া ও আশপাশের গ্রামের হাজারো মানুষকে প্রতিদিন আধা কিলোমিটার ঘুরে পায়ে হেঁটে চলাচল করতে হচ্ছে। শিক্ষার্থী, রোগী, কৃষক ও ব্যবসায়ীরা সবচেয়ে বেশি সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে।
স্থানীয় ব্যবসায়ী স্বপন সিকদার, ইউপি সদস্য মতিউর রহমান ও হিটলার জানান, কাঠের সেতু দিয়ে ভারী যানবাহন চলাচল করতে পারে না। কৃষকদেরকে মাঠ থেকে ধান, পাট, গমসহ ফসল মাথায় করে বয়ে আনতে হচ্ছে। রোগী বা জরুরি প্রয়োজনে মানুষকে হাতের ওপর বা কাঁধে করে পারাপার করাতে হচ্ছে। আমরা দ্রুত কংক্রিটের সেতু চাই।
রেহাইপুখুরিয়া আদর্শ মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ মফিজুল ইসলাম জানান, রেহাইপুখুরিয়া কলেজ, আরপিএন শহীদ শাহজান কবির উচ্চ বিদ্যালয়, রেহাইপুখুরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ আশপাশের অন্তত ১১টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাফেরা করছে। বর্ষার আগেই এই সড়কে কংক্রিটের সেতু নির্মাণ করতে হবে, নইলে দুর্ভোগ আরও বাড়বে।
চৌহালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোস্তাফিজুর রহমান জানান, রেহাইপুখুরিয়া খালের ওপর ভাঙা কাঠের সেতুটি দ্রুতই সংস্কার করা হবে। এছাড়া স্থায়ী কংক্রিটের সেতু নির্মাণসহ সংযোগ সড়ক নির্মাণের জন্য এলজিইডির পক্ষ থেকে অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষে খুব দ্রুত সেখানে স্থায়ীভাবে কাজ শুরু করা হবে।