কুমিল্লার মুরাদনগরের বাঙ্গরা বাজার এলাকায় মা, ছেলে ও মেয়েকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার আট আসামির মধ্যে সাতজনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। 

গ্রেপ্তার অপরজন মামলার এজহারনামীয় ৩ নম্বর আসামি বাচ্চু মিয়া মেম্বার আদালতে স্বেচ্ছায় ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিতে রাজি হলে তাঁর বক্তব্য রেকর্ডের প্রক্রিয়া গ্রহণ করা হয়।  

আজ রোববার (৬ জুলাই) বিকেলে চাঞ্চল্যকর তিন খুনের ঘটনায় ঢাকায় র‍্যাবের হাতে আটক ছয়জনকে কুমিল্লার আদালতে হাজির করে পুলিশ।  আসামিদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন ৫নং চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক সিদ্দিক আজাদ। 

এর আগে শনিবার সন্ধ্যায় সেনাবাহিনীর হাতে আটক দুই আসামিকে পুলিশের মাধ্যমে আদালতে হাজির করা হলে আমলি আদালত ১১-এর বিচারক মমিনুল হক তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। 

গত ৪ জুলাই বৃহস্পতিবার সকালে বাঙ্গরা বাজার এলাকার কড়ইবাড়িতে মাদক ব্যবসার অভিযোগ এনে নিজ বাড়ির সামনে রোখসানা বেগম রুবি, তার মেয়ে জোনাকি আক্তার ও ছেলে রাসেল মিয়াকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এই ঘটনায় রোকসানার মেয়ে রিক্তা আক্তার বাদী হয়ে ৩৮ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ২৫ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা করেন।  

এই মামলায় এখন পর্যন্ত সেনাবাহিনী ও র‍্যাবের অভিযানে মোট আটজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।  এর মধ্যে ৫ জুলাই সন্ধ্যায় নাজিমুদ্দিন বাবুল ও ছবির আহমেদ নামে দুই আসামিকে আদালতের তোলা হলে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত। 

আজ বিকেলে র‍্যাবের হাতে গ্রেপ্তার বাচ্চু মিয়া, রবিউল আওয়াল, আতিকুর রহমান, মো. বায়েজ মাস্টার, দুলাল ও আকাশকে আদালতে তোলা হলে তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এদের মধ্যে বাচ্চু মিয়া হত্যা মামলায় সম্পৃক্ততা থাকার বিষয়ে আদালতকে জবানবন্দি দিবেন বলে জানান। আদালত তার বক্তব্য রেকর্ডের প্রক্রিয়া গ্রহণ করে। 

কুমিল্লার আদালত পরিদর্শক সাদেকুর রহমান বলেন, এ মামলায় মোট আটজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে হাজির করা হয়েছে। শনিবার সন্ধ্যায় দুজনকে এবং আজ বিকেলে ছয়জনকে আদালতে নিয়ে আসা হয়। আদালত তাদের জামির নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এর মধ্যে মামলার তিন নম্বর আসামি বাচ্চু মিয়া আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেওয়ার কথা জানিয়েছেন। তাঁর জবানবন্দি রেকর্ড করা হবে।