গোপালগঞ্জে সংঘর্ষে নিহত ৪, চলছে কারফিউ

গোপালগঞ্জে এনসিপির পদযাত্রা ও সমাবেশকে কেন্দ্র করে দফায় দফায় সংঘর্ষে চারজন নিহত হয়েছে। আজ বিকেল পৌনে ৩টার দিকে এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতারা সমাবেশ শেষে মাদারীপুরে যাওয়ার পথে শহরের লঞ্চঘাট, পৌরসভার সামনেসহ বিভিন্ন স্থানে সেনাবাহিনী, পুলিশ ও এপিবিএনের সঙ্গে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী এবং সমর্থকদের দফায় দফায় সংঘর্ষের সময় এই মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।
গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক জীবিতেষ বিশ্বাস এই চারজনের মৃত্যুর কথা নিশ্চিত করেছেন।
নিহত ব্যক্তিরা হলেন শহরের থানাপাড়ার সোহেল রানা (৩৫), রমজান কাজী (২৪), সদর উপজেলার ভেড়ার বাজারের ইমন (১৬) ও শহরের পোস্ট অফিস রোডের সন্তোষ সাহার ছেলে দীপ্ত সাহা (২৮)। ওই সংঘর্ষের ঘটনায় আহত অনেকে চিকিৎসা নিলেও তাদের সঠিক সংখ্যা এখনো জানা যায়নি।
এদিকে, গোপালগঞ্জে এনসিপির সভা ঘিরে কয়েক ঘণ্টা ধরে সংঘর্ষের পর কারফিউ জারি করেছে সরকার। আজ বুধবার (১৬ জুলাই) রাত ৮টা থেকে পরদিন (বৃহস্পতিবার) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত কারফিউ জারি করা হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
বুধবার বিকেল পৌনে ৩টার দিকে গোপালগঞ্জে সভা শেষে ফেরার পথে এনসিপির গাড়িবহরে হামলার ঘটনা ঘটে। কার্যক্রম নিষিদ্ধ হওয়া আওয়ামী লীগ ও নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা এ হামলা চালায় বলে জানা যায়। এসময় গোপালগঞ্জ রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।
এর আগে দুপুর দেড়টার দিকে গোপালগঞ্জ শহরের পৌরপার্ক এলাকায় আয়োজিত এনসিপির সমাবেশের মঞ্চেও হামলা চালায় ছাত্রলীগ। সমাবেশ মঞ্চে থাকা সাউন্ড বক্স, মাইক, চেয়ার ভাঙচুরসহ উপস্থিত এনসিপির নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করা হয়। পরে পৌরপার্ক এলাকা ত্যাগ করার কিছু সময় পর হামলার মুখে পড়ে এনসিপির গাড়িবহর।
এ সময় গোপালগঞ্জ পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন এনসিপির নেতারা।
পরে অবরুদ্ধ থাকার পর সেনাবাহিনী ও পুলিশের পাহারায় গোপালগঞ্জ ছাড়েন এনসিপির নেতারা। আজ বুধবার (১৬ জুলাই) বিকেল ৫টা পরে গোপালগঞ্জ ত্যাগ করেন তারা।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কড়া পাহাড়ায় তাদের ১৫ থেকে ১৬ গাড়ির বহর গোপালগঞ্জ ছাড়ে। এই বহরে থাকা এনসিপি নেতাদের মধ্যে রয়েছেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, আখতার হোসেন, হাসনাত আব্দুল্লাহ, সারজিস আলমসহ শীর্ষ নেতারা।