সাভারে ইয়ামিন হত্যা মামলায় এএসআই গ্রেপ্তার, ট্রাইব্যুনালে হস্তান্তর

সাভারে পুলিশের সাঁজোয়া যানে (এপিসি) এমআইএসটির শিক্ষার্থী শাইখ আশহাবুল ইয়ামিন হত্যা মামলায় সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মোহাম্মদ আলীকে (৩১) গ্রেপ্তার করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হস্তান্তর করা হয়েছে।
আজ রোববার (৩ আগস্ট) সকাল ৬টার দিকে নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ থানার মুড়াপাড়া থেকে এএসআই মোহাম্মদ আলীকে গ্রেপ্তার করা হয়। বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেন ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার মো. আনিসুজ্জামান।
এএসআই মোহাম্মদ আলীর বাড়ি কিশোরগঞ্জ জেলার সদর থানায়। তিনি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা মাথায় নিয়েই দীর্ঘদিন ধরে আত্মগোপনে ছিলেন।
গত বছরের ১৮ জুলাই সাভারে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শাইখ আশহাবুল ইয়ামিন শহীদ হন। ওই সময় পুলিশের একটি সাঁজোয়া যানের ওপর থেকে তাঁকে টেনে নিচে ফেলে দেওয়ার ভিডিও তখনই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে।
ইয়ামিন রাজধানীর মিরপুরের মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির (এমআইএসটি) কম্পিউটারবিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। থাকতেন এমআইএসটির ওসমানী হলে। বাসা সাভারের ব্যাংক টাউন আবাসিক এলাকায়।
এ ঘটনায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাসহ ১৯৭ জনের বিরুদ্ধে সাভার মডেল থানায় মামলা করেন শহীদ ইয়ামিনের মামা আব্দুল্লাহ আল কাবির।
পাশাপাশি শাইখ আসহাবুল ইয়ামিনকে হত্যার অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে (আইসিটি) মামলা হলে এ ঘটনায় ১০ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।
পুলিশ সুপার মো. আনিসুজ্জামান জানান, গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত আসামি হওয়ায় এএসআই মোহাম্মদ আলীকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হস্তান্তর করা হয়েছে।
শহীদ শাইখ আশহাবুল ইয়ামিন হত্যা মামলার অন্যতম আসামি সাভারের বিরুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগনেতা সাইদুর রহমান সুজন (৪৫) গত ১৫ জুন কেরানীগঞ্জে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে মারা গেছেন। কর্তৃপক্ষের দাবি, কারাগারের সূর্যমুখী ভবনের একটি কক্ষে গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি।