মধ্যাহ্নভোজের বিরতি শেষে আবার শুনানিতে ইসি

সংসদীয় আসনের খসড়া সীমানার ওপর দাবি-আপত্তি নিয়ে দ্বিতীয় দিনের শুনানি শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
আজ সোমবার (২৫ আগস্ট) খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম অঞ্চলের দাবি-আপত্তির শুনানি গ্রহণ করা হচ্ছে। সকাল ১০টা থেকে শুনানি শুরু হয়ে চলে দুপুর ১২টা পর্যন্ত। দুপুরের বিরতির পর আবার সীমানার ওপর দাবি-আপত্তি শুনতে শুরু করেছে ইসি। যা চলবে দুপুর আড়াইটায় শরু হয়ে চলবে বিকেল পর্যন্ত।
ইসির শুনানিতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিনসহ চার নির্বাচন কমিশনার, ইসি সচিব উপস্থিত ছিলেন। নির্বাচন ভবনের অডিটরিয়ামে শুনানির সময় দাবি-আপত্তিকারী বা আবেদনকারীর কৌঁসুলি নির্ধারিত স্থানে দাঁড়িয়ে নিজের যুক্তি তর্ক তুলে ধরেন।
গতকাল রোববার (২৪ আগস্ট) কুমিল্লা অঞ্চলের ছয়টি জেলার ১৮টি সংসদীয় আসনের পুনঃনির্ধারিত সীমানার বিষয়ে দাবি ও আপত্তি নিষ্পত্তি করেছে ইসি। এসব আসন থেকে আসা জনপ্রতিনিধিদের কথা শোনে সাংবিধানিক এ প্রতিষ্ঠানটি।
ইসি জানিয়েছে, রোববার সীমানার বিষয়ে ৪২৯টি আপত্তি এবং ৩৮২টি পরামর্শসহ মোট ৮১১টি আবেদনের ওপর শুনানি গ্রহণ করা হয়।
অন্যদিকে আজ সকাল ১০টা থেকে ১২টা পর্যন্ত সাতক্ষীরা-৩, ৪, যশোর-৩, ৬, বাগেরহাট-১, ২ ও ৩ শুনানি করেছে ইসি। আড়াইটা থেকে ৫টা পর্যন্ত ঝালকাঠি-১, বরগুনা-১,২, পিরোজপুর-১, ২, ৩, চট্টগ্রাম-৩, ৫, ৮, ১৯, খাগড়াছড়ি, রাঙ্গামাটি ও বান্দরবান আসনের শুনানি করা হবে।
গত ৩০ জুলাই ৩০০ সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণ করে খসড়া প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। এতে ভোটার সংখ্যার সমতা আনতে গিয়ে গাজীপুর জেলায় একটি আসন বাড়িয়ে ছয়টি করা হয় এবং বাগেরহাটের আসন চারটি থেকে কমিয়ে তিনটির প্রস্তাব করা হয়।
আজ বাগেরহাটের শুনানি করে ইসি। বাগেরহাটে আগে চারটি আসন ছিল- বাগেরহাট-১ (মোল্লারহাট-ফকিরহাট-চিতলমারী); বাগেরহাট-২ (সদর ও কচুয়া); বাগেরহাট-৩ (রামপাল ও মোংলা) এবং বাগেরহাট-৪ (মোড়েলগঞ্জ ও শরণখোলা)।
এবার বাগেরহাট-১ আগের মতো বহাল রাখা হয়েছে। বাগেরহাট সদর, কচুয়া, রামপাল নিয়ে বাগেরহাট-২ আসন এবং মোংলা, মোড়েলগঞ্জ ও শরণখোলা উপজেলা নিয়ে বাগেরহাট-৩ প্রস্তাব করা হয়েছে।
আজ ইসির শুনানিতে বাগেরহাটবাসীরা দাবি জানিয়েছেন, বাগেরহাট জেলায় চারটি আসন আগের মত বহাল থাকবে। এ বিষয়ে ইসি যথাযথ সিদ্ধান্ত নেবে।
এ ছাড়া পরিবর্তন আনা হয় মোট ৩৯টি আসনে। এগুলো হলো-পঞ্চগড় ১ ও ২; রংপুর ৩; সিরাজগঞ্জ ১ ও ২; সাতক্ষীরা ৩ ও ৪; শরিয়তপুর ২ ও ৩; ঢাকা ২,৩,৭,১০,১৪ ও ১৯; গাজীপুর ১,২,৩,৫ ও ৬; নারায়ণগঞ্জ ৩,৪ ও ৫; সিলেট ১ ও ৩; ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২ ও ৩; কুমিল্লা ১,২,১০ ও ১১; নোয়াখালী ১,২,৪ ও ৫; চট্টগ্রাম ৭ ও ৮ এবং বাগেরহাট ২ ও ৩ আসন। ইসির প্রকাশিত ওই খসড়ার তালিকার ওপর গত ১০ আগস্ট পর্যন্ত আপত্তি আহ্বানও করা হয়।
এরপর গত ১০ আগস্ট পর্যন্ত মোট ৮৩টি আসনের সীমানা নিয়ে ১ হাজার ৭৬০টি দাবি আপত্তি জমা পড়ে ইসিতে। এগুলোই নিষ্পত্তি করে চূড়ান্ত সীমানা প্রকাশ করবে ইসি।
আগামীকাল মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) ঢাকা অঞ্চলের দাবি-আপত্তির শুনানি হবে। এদিন সকাল ১০টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত মানিকগঞ্জ-১, ২, ৩, নরসিংদী-৪, ৫, নারায়ণগঞ্জ-৩, ৪, ৫; আড়াইটা থেকে ৫টা পর্যন্ত ঢাকা-১, ২, ৩, ৪, ৫, ৬, ৭, ১০, ১৪, ১৫, ১৬, ১৮ ও ১৯ আসনের শুনানি হবে।
আগামী ২৭ আগস্ট রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ফরিদপুর ও সিলেট অঞ্চলের দাবি আপত্তির শুনানি হবে। এদিন সকাল ১০টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত পঞ্চগড়-১, ২, রংপুর-১, কুড়িগ্রাম-৪, সিরাজগঞ্জ-২, ৫, ৬, পাবনা-১; আড়াইটা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত টাঙ্গাইল-৬, জামালপুর-২, কিশোরগঞ্জ-১, সিলেট-১, ফরিদপুর- ১, ৪, মাদারীপুর-২, ৩, শরীয়তপুর-২ ও ৩ আসনের শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।