মামলা করেও নিরাপত্তাহীনতায় পরিবার, বাড়ি ছাড়া ভুক্তভোগীরা

নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে থানায় মামলা করার পরও আসামিদের হুমকি ও নির্যাতনের ভয়ে ঘরবাড়ি ছেড়ে নিরাপত্তাহীন জীবনযাপন করছে এক পরিবার। ভুক্তভোগী এনামুল হক উপজেলার বাহাগিলী ইউনিয়নের টেপাদহ এলাকার মৃত আকবর আলীর ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে জমি ও পারিবারিক বিরোধের জেরে এনামুল হকের পরিবারকে বিভিন্নভাবে হেনস্তা করে আসছে প্রতিপক্ষ। সম্প্রতি কিশোরগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে আসামিরা আরও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে।
মামলা ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, এনামুল হকের সঙ্গে তার আপন ভাই আমজাদ হোসেন ও রেজাউল ইসলামের জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলছিল দীর্ঘদিন ধরে। এর জেরে গত ৭ আগস্ট আসামিরা সংঘবদ্ধ হয়ে এনামুল ও তার পরিবারের ওপর হামলা চালায়। এ সময় ঘরবাড়ি ভাঙচুর ও আবাদি জমির ফসল নষ্ট করা হয়। পরে নিরাপত্তা চেয়ে এনামুল আটজনকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেন। কিন্তু মামলা করার পর থেকেই আসামিরা মামলা তুলে নিতে নানাভাবে হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছে। সর্বশেষ গত ২৫ আগস্ট ভুক্তভোগী পরিবার আবারও থানায় গিয়েছিল সহায়তার জন্য।
ভুক্তভোগী এনামুল হক বলেন, আসামিরা বারবার আমাকে ও আমার পরিবারের লোকজনকে মারধর করেছে। আমার জমির মাটি কাটতে বাধা দিলে তারা আবারও হামলা চালায়। বাধ্য হয়ে আমি মামলা করি। কিন্তু মামলা করার পর তারা আমাকে মামলা তুলে নিতে চাপ দিচ্ছে। মামলা না তোলায় আমাদের মারধর করে ঘর ছাড়তে বাধ্য করেছে। ভয়ে আমরা দশদিন ধরে বাড়িতে যেতে পারছি না।
এনামুলের স্ত্রী দুলালি বেগম বলেন, আসামিরা দীর্ঘদিন ধরে আমাদের সঙ্গে অন্যায় করে আসছে। আমরা তাদের হাত থেকে বাঁচতেই থানায় মামলা করেছি। কিন্তু মামলা করার পর থেকে তারা আরও বেশি নির্যাতন শুরু করেছে। আমাদের জমির মাটি কাটার সময় বাধা দিলে তারা সবাইকে মারধর করেছে। আমরা ভয়ে এখন বোনের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছি।
কিশোরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি আমরা জানি। ভুক্তভোগীকে সহায়তা করা হবে। তারা বাড়িতে গেলে কোনো ক্ষয়ক্ষতি হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ বিষয়ে বসার ব্যবস্থা করছি এবং স্থানীয় ইউপি সদস্যদের সঙ্গেও কথা হচ্ছে।