৭ ঘণ্টা পর মুক্ত বাকৃবি উপাচার্যসহ অবরুদ্ধ শিক্ষকেরা

একাডেমিক কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত মেনে তালা খুলে দিলে সাত ঘণ্টা পর মুক্ত হয়েছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) উপাচার্য (ভিসি) ও অন্যান্য শিক্ষকেরা। আজ রোববার (৩১ আগস্ট) রাত ৮টার দিকে মুক্ত হন তারা।
এর আগে দুপুর ১টার দিকে একাডেমিক কাউন্সিলের ভ্যানু জয়নুল আবেদিন অডিটরিয়ামে তালা দেয় শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীরা দীর্ঘ দিন ধরে পশুপালন ও ভেটেরিনারি অনুষদের সমন্নয়ে একক ডিগ্রির জন্য আন্দোলন করে আসছিল। সংকট নিরসনে আজ সকালে জয়নুল আবেদিন অডিটরিয়ামে একাডেমিক কাউন্সিল সভা করা হয়।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড ফজলুল হক ভুইয়া জানান, রাত ৮টার দিকে একাডেমিক কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত মেনে শিক্ষার্থীরা তালা খুলে দিলে তিনি ও অন্যান্য শিক্ষকেরা মুক্ত হন।
পশুপালন ও ভেটেরিনারি অনুষদের শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলের সভা অনুষ্ঠিত হয়। চলমান আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় সিদ্ধান্ত হয় পশুপালন, ভেটেরিনারি ও কম্বাইন্ড –এ তিনটি ডিগ্রি বহাল রাখা হবে। তবে এ সিদ্ধান্ত মেনে নেয়নি আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। সিদ্ধান্ত ঘোষণার পরই মিলনায়তনে তালা দেয় তারা।
একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সব অনুষদের শিক্ষকরা অংশ নেন। সভা শেষে ঘোষণা দেওয়া হয়, আগামী সেশন থেকে কম্বাইন্ড কোর্সে ১৫০ জন, ভেটেরিনারিতে ৫০ এবং পশুপালনে ৫০ শিক্ষার্থী ভর্তি করানো হবে। ইতোমধ্যে যারা ভর্তি হয়েছেন, তাদের জন্য অপশন থাকবে—তারা চাইলে ভেটেরিনারি, পশুপালন বা কম্বাইন্ড যেকোনো একটি ডিগ্রি নিতে পারবেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী দুই অনুষদ একীভূত করা সম্ভব নয়; তবে দুই অনুষদ মিলিতভাবে কম্বাইন্ড ডিগ্রি প্রদান করবে এবং পালাক্রমে দুই অনুষদ থেকেই ডিন নির্বাচিত হবেন।
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মো. আসাদুজ্জামান সরকার বলেন, শিক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে কাউন্সিলে সর্বসম্মতিক্রমে কম্বাইন্ড ডিগ্রি চালুর সিদ্ধান্ত হয়। এ লক্ষ্যে ডিন কাউন্সিলের আহ্বায়ককে প্রধান করে চার সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। তারা দ্রুত সময়ের মধ্যে কম্বাইন্ড কোর্সের জন্য নতুন কারিকুলাম তৈরি করবেন। মেকআপ কোর্সের কারিকুলামও প্রস্তুত করা হবে।
তবে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা তিনটি ডিগ্রি বহাল রাখার সিদ্ধান্ত মানতে রাজি নন। তারা এক পেশায় এক ডিগ্রির দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন।