চাঁদপুরের অর্থকরী ফসল পানের সুনাম দেশজুড়ে

দেশীয় খাবারের ঐতিহ্যের অংশ পান পাতা। চাঁদপুরের হাইমচরে এই পানের আবাদ বহু পরিবারের জীবিকার প্রধান অবলম্বন। জেলার ব্র্যান্ডিং পণ্যের মধ্যে অন্যতম এই পান থেকে প্রতিবছর প্রায় ৫০ কোটি টাকার বিক্রি হয়। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে পান যায় আশপাশের জেলাতেও। তবে প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও রোগবালাইতে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা কখনোই প্রণোদনা পায় না বলে অভিযোগ রয়েছে।
উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে মহানলী, চালতা কোঠা, নল ডোগ ও সাঁচি জাতের পান যুগ যুগ ধরে চাষ হচ্ছে। সরেজমিনে দেখা গেছে, রোগবালাই না হলে উৎপাদনে সমস্যা হয় না। শীত ছাড়া বছরের বাকি সময় নিয়মিত পান বাজার বসে। একসময় জেলার বাইরে শুধু রায়পুরে বিক্রি হলেও এখন উপজেলা সদরের মহজমপুরে পানের আড়ৎ গড়ে উঠেছে।
স্থানীয় চাষি ফারুক ইসলাম বলেন, আমরা বংশপরম্পরায় পান আবাদ করে আসছি। দুর্যোগে ক্ষতি হলেও ভালো দামে লোকসান উঠে আসে।
শ্রমিক একুব আলী জানান, শৈশব থেকেই এই কাজ শিখেছি। অন্য কাজ করতে পারি না। ভালোও লাগে না।
পান ব্যবসায়ী নবির হোসেন জানান, বরজ থেকে পাইকারিতে কিনে জেলা সদরসহ আশপাশের জেলায় বিক্রি করি। শতাধিক খুচরা ব্যবসায়ীও এ পেশায় জড়িত।
ফরিদগঞ্জের চেরাগ আলী বলেন, ৪০ বছর ধরে এই ব্যবসার সঙ্গে আছি। হাইমচর থেকে প্রতি সপ্তাহে অর্ধ লাখ টাকার পান কিনি। এই ব্যবসার উপরই সংসার চলে।
হাইমচর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. শাকিল খন্দকার বলেন, এ বছর ২৩৫ হেক্টর জমিতে ১ হাজার ৭২টি বরজে পান চাষ হয়েছে। প্রতিবছর পান বিক্রি হয় ৫০ থেকে ৫২ কোটি টাকার। শাকিল খন্দকার আরও বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা রোগবালাই দেখা দিলে আমরা কৃষকদের পাশে থাকি। প্রণোদনার বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়।