কাল বিজিএমইএ নির্বাচনে লড়ছেন ৭৬ প্রার্থী

নির্বাচনে জয়ী হলে বিজিএমইএর সদস্যদের স্বার্থরক্ষা, ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের সহায়তা, শ্রমিক অধিকার, বিশ্ববাজার প্রসারসহ পোশাক শিল্পের নানা উন্নয়ন কর্মপরিকল্পনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএ নির্বাচনের প্রার্থীরা। এছাড়া গ্যাস-বিদ্যুতের সমস্যা সমাধানসহ পোশাক খাতের জন্য আলাদা মন্ত্রণালয় গঠনে উদ্যোগ নেওয়ার মতোও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তারা।
বিজিএমইএ সূত্রে জানা গেছে, আগামী ২০২৫-২৭ মেয়াদের বিজিএমইএ নির্বাচনে ৩৫টি পরিচালক পদে লড়ছেন ৭৬ জন প্রার্থী। বিজিএমইএ নির্বাচনী বোর্ডের চেয়ারম্যানের দায়িত্বে আছেন বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশনের (বিসিআইসি) সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইকবাল।
আগামীকাল শনিবার (৩১ মে) ঢাকায় এবং চট্টগ্রামে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ চলবে। এবারে শুধু সচল কারখানার উদ্যোক্তারাই ভোটার হওয়ার সুযোগ পেয়েছেন। সেই হিসেবে ভোটার সংখ্যা ১ হাজার ৮৬৫। এর মধ্যে ঢাকা ভোটার ১ হাজার ৫৬১ জন। চট্টগ্রামে ভোটার ৩০৩ জন। তবে গত বছর ভোটার ছিলেন ২ হাজার ৪৯৬ জন।
এবার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রশাসকের অধীনে নির্বাচন হচ্ছে। ভোটের মাঠে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। এই নির্বাচন স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ হবে, এমন প্রত্যাশা প্রার্থীদের। ফোরাম, সম্মিলিত পরিষদ ও ঐক্য পরিষদ নামে তিনটি প্যানেলের অধীনে অংশ নিচ্ছেন প্রার্থীরা। এর মধ্যে ফোরাম ও সম্মিলিত পরিষদ ঢাকায় ২৬টি, চট্টগ্রামে ৯টিসহ ৩৫ পদে পূর্ণাঙ্গ প্যানেল ঘোষণা করেছে। ঐক্য পরিষদ ছয়জন প্রার্থী দিয়ে প্যানেল ঘোষণা করেছে।
নির্বাচনি ইশতেহারে ১২ দফা প্রতিশ্রুতি দিয়েছে সম্মিলিত পরিষদ। প্যানেলটির লিডার মো. আবুল কালাম। অন্যদিক ১৪ দফা ইশতেহার দিয়েছে ফোরাম। প্যানেলটির লিডার মাহমুদ হাসান খান। এছাড়া ১৬ দফা ইশতেহার দিয়েছে ঐক্য পরিষদ। প্যানেলটির লিডার মোহাম্মদ মহসিন।
সম্মিলিত পরিষদের ঢাকার প্রার্থী হয়েছেন– মো. আবুল কালাম, ফারুক হাসান, খন্দকার রফিকুল ইসলাম, আবদুল্লাহ হিল রাকিব, আসিফ আশরাফ, মো. মশিউল আজম সজল, মোস্তাজিরুল শোভন ইসলাম, মো. আশিকুর রহমান, ফিরোজ আলম, মো. নুরুল ইসলাম, সৈয়দ সাদিক আহমেদ, মোহাম্মদ সোহেল সাদাত, মো. শাহদাৎ হোসেন, মো. মহিউদ্দিন রুবেল, রেজাউল আলম মিরু, আবরার হোসেন সায়েম, মোহাম্মেদ কামাল উদ্দীন, সাইফুদ্দিন সিদ্দিকী সাগর, তামান্না ফারুক থিমা, মির্জা ফায়েজ হোসেন, হেলাল উদ্দিন আহমেদ, লিথি মুনতাহা মহিউদ্দিন, এ কে এম আজিমুল হাই, মাঞ্জুরুল ফয়সাল হক, এস এম মনিরুজ্জামান ও মোহাম্মদ রাশেদুর রহমান।
সম্মিলিত পরিষদের চট্টগ্রামের প্রার্থীরা হলেন– এস এম আবু তৈয়ব, রাকিবুল আলম চৌধুরী, মোহাম্মদ মুসা, অঞ্জন কুমার দাশ, নাফিদ নবি, সৈয়দ মোহাম্মেদ তানভীর, মোস্তফা সারোয়ার রিয়াদ, মো. আবসার হোসেন ও গাজী মো. শহীদ উল্লাহ।
ফোরামের ঢাকার প্রার্থী হয়েছেন– মাহমুদ হাসান খান, মোহাম্মদ আবদুস সালাম, কাজী মিজানুর রহমান, মো. শিহাব উদ্দোজা চৌধুরী, ইনামুল হক খান, মো. হাসিব উদ্দিন, মোহাম্মদ সোহেল, শেখ এইচ এম মোস্তাফিজ, ভিদিয়া অমৃত খান, মোহাম্মদ আব্দুল রহিম, শাহ রাঈদ চৌধুরী, মিজানুর রহমান, মোহাম্মদ হোসনে কমার আলম, এ বি এম শামছুদ্দিন, নাফিস উদ দৌলা, সুমাইয়া ইসলাম রোজালিন, আনোয়ার হোসেন চৌধুরী, মজুমদার আরিফুর রহমান, মোজাম্মেল হক ভূঁইয়া, ফাহিমা আক্তার, আসেফ কামাল পাশা, ড. রশীদ আহমেদ হোসাইনী, রুমানা রশীদ, সামিহা আজিম, রেজোয়ান সেলিম ও ফয়সাল সামাদ।
ফোরামের চট্টগ্রামের প্রার্থীরা হলেন– সেলিম রহমান, মোহাম্মদ সাইফ উল্যাহ মানসুর, মোহাম্মদ রফিক চৌধুরী, এমডি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী, সাকিফ আহমেদ সালাম, এনামুল আজিজ চৌধুরী, মো. এমদাদুল হক চৌধুরী, মির্জা মো. আকবর আলী চৌধুরী ও রিয়াজ ওয়াইজ।
ঐক্য পরিষদের প্রার্থী হয়েছেন– মোহাম্মদ মহসিন, দেলোয়ার হোসাইন, খালেদ এমডি ফয়সাল ইকবাল, এ কে এম আবু রায়হান, এমডি মহসিন অপু ও শেখ এরশাদ উদ্দিন।