কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) দুই শিক্ষার্থীকে স্থানীয় বখাটেরা মারধর করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ সময় চলন্ত মোটরসাইকেল থেকে ফেলে দিয়ে তাঁদের ওপর হামলা করা হয়। এ ঘটনার প্রতিবাদে সন্ধ্যা সোয়া ৬টা থেকে রাত ১০টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ সড়ক অবরোধ করে রেখেছে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।

সড়ক অবরোধ করে রাখায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনের সড়কের দুই পাশে শতশত যানবাহন আটকা পড়ে বিশাল যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। আজ সোমবার বিকেলে এই মারধরের ঘটনা ঘটে।

আহত দুজনের মধ্যে একজনকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁর নাম মেহেদী হাসান। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের ম্যানেজমেন্ট বিভাগের শিক্ষার্থী। অপরজন জাহিদ একই শিক্ষাবর্ষের ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের শিক্ষার্থী।

ক্যাম্পাসের কয়েকজন শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আজ দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের মফিজ লেকে কিছু শিক্ষার্থী আড্ডা দেওয়ার সময় শেখপাড়া এলাকার স্থানীয় বখাটেরা তাঁদের সঙ্গে থাকা বান্ধবীদের মুঠোফোনে ভিডিও ধারণ করে। এর প্রতিবাদে তাঁরা ভিডিও ডিলিট করতে বললে উভয় পক্ষের মধ্যে তর্কাতর্কি হয়। একপর্যায়ে বহিরাগতরা চলে যায়।

বিকেল ৫টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থী শেখপাড়া বাজার এলাকায় মোটরসাইকেলে তেল নিতে গেলে তাঁদের ওপর চড়াও হয় সেই বখাটেরা। চলন্ত মোটরসাইকেল থেকে ফেলে তাদের এলোপাতাড়ি মারধর করে। এতে তাঁরা আহত হন।

এ ঘটনা জানাজানি হলে সন্ধ্যা সোয়া ৬টা থেকে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফটক সংলগ্ন কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়ক অবরোধ করে। তারা বহিরাগত মুক্ত ক্যাম্পাস, শিক্ষার্থীর ওপর হামলার বিচার ও নিরাপদ ক্যাম্পাসসহ তিন দফা দাবি নিয়ে এ বিক্ষোভ শুরু করে। এ সময় উপস্থিত ছিল ক্যাম্পাসের পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থী। তারা সড়কের দুই দিকে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করছে।

ইসলামী বিশশ্ববিদ্যালয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আননুন যায়েদ জানান, ইসলামী বিশশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উপর স্থানীয়দের হামলার অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফটকের সামনে অবস্থান নিয়ে কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছে শিক্ষার্থীরা। এর ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনের সড়কের দুই পাশে শতশত যানবাহন আটকা পড়ে বিশাল যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।  বিষয়টি দ্রুত সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও জানান ওসি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন বলেন, ‘আমরা ঘটনাস্থলে আছি। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে শান্ত করার চেষ্টা করছি। আহত এক শিক্ষার্থীকে কুষ্টিয়ায় হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পরে বিস্তারিত জানানো হবে।’