আজিমপুরে অন্তিম শয্যায় কাওসার আহমেদ চৌধুরী

খ্যাতিমান গীতিকবি ও জ্যোতিষী কাওসার আহমেদ চৌধুরীর দাফন সম্পন্ন হয়েছে। আজ বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে প্রয়াতের শেষ ইচ্ছে অনুযায়ী রাজধানীর আজিমপুর কবরস্থানে তাঁর দাফনকার্য সম্পাদন হয়।
প্রয়াতের ছেলে আহমেদ সাফি চৌধুরী এনটিভি অনলাইনকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
স্বনামধন্য গীতিকার ও জ্যোতিষী কাওসার আহমেদ চৌধুরী রাজধানীর ধানমণ্ডি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ রাত ৯টা ৪৫ মিনিটের দিকে মৃত্যুবরণ করেছেন।
কাওসার আহমেদ চৌধুরী শারীরিক নানা জটিলতায় বেশ কিছু দিন ধরে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। করোনায়ও আক্রান্ত হয়েছেন। ৭৭ বছর বয়সী এই বরেণ্য গীতিকারকে গত বৃহস্পতিবার ওই ক্লিনিকে ভর্তি করা হলে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) নেওয়া হয়েছিল। শুক্রবার দুপুরে তাঁর রক্তে হিমোগ্লোবিন মাত্রাতিরিক্ত কমে যাওয়ায় জরুরি ভিত্তিতে রক্তের প্রয়োজন পড়ে। অনেক দিন ধরে তিনি কিডনি ও স্নায়ুজনিত জটিলতায় ভুগেছেন। দুবার স্ট্রোকও (মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ) হয়।
দীর্ঘদিন দৈনিক পত্রিকায় রাশিফল গণনার মধ্য দিয়ে কাওসার আহমেদ চৌধুরী পাঠকদের কাছে সুপরিচিত নাম হয়ে উঠেছেন। তিনি এলআরবি, মাইলস, সামিনা চৌধুরী, লাকী আখন্দ, নিয়াজ মোহাম্মদ চৌধুরীর মতো অনেক বিখ্যাত গায়ক ও ব্যান্ডের জন্য বেশ কয়েকটি বিখ্যাত গান লিখেছেন।
কাওসার আহমেদ চৌধুরীর লেখা উল্লেখযোগ্য গানের মধ্যে রয়েছে : ‘আমায় ডেকো না’, ‘কবিতা পড়ার প্রহর এসেছে রাতের নির্জনে’, ‘আজ এই বৃষ্টির কান্না দেখে মনে পড়ল তোমায়’, ‘যেখানে সীমান্ত তোমার’, ফিডব্যাক ব্যান্ডের মৌসুমি ১, ২ ও এলআরবির ‘রুপালি গিটার ফেলে’ ইত্যাদি। এ ছাড়া তিনি বেশ কিছু নাটক রচনা ও পরিচালনা করেছেন।
১৯৪৪ সালের ১৬ ডিসেম্বর সিলেটে কাওসার আহমেদ চৌধুরীর জন্ম। তাঁর বাবা মোসাহেদ চৌধুরী। কাওসার আহমেদ চৌধুরী ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। চারুকলায় পড়াশোনা করলেও সম্পন্ন করেননি। চলচ্চিত্র নির্মাণে তাঁর আগ্রহ ছিল। একাধিক তথ্যচিত্রও নির্মাণ করেন।