ওয়াসিম : বডি বিল্ডিংয়ে খেতাব জয়ী অ্যাকশন হিরো

সত্তর-আশি দশকে ঢাকাই সিনেমার অ্যাকশন হিরো হিসেবে অপ্রতিদ্বন্দ্বী মনে করা হতো চিত্রনায়ক ওয়াসিমকে। তবে শুধু লাইট, ক্যামেরা আর অ্যাকশনের দুনিয়ায় নয়; বাস্তব জীবনেও এই চিত্রনায়ক ছিলেন শক্তিশালী। স্কুলজীবন থেকে মনোযোগী ছিলেন শরীরচর্চায়।
কলেজে পড়া অবস্থায় নাম করেছিলেন বডি বিল্ডার হিসেবে। শুধু নাম নয়, ১৯৬৪ সালে বডি বিল্ডিংয়ের জন্য মিস্টার ইস্ট পাকিস্তান খেতাব অর্জন করেছিলেন তিনি। গেল বছর এক সাক্ষাৎকারে এমন তথ্যই জানিয়েছিলেন দেড় শতাধিক সিনেমায় অভিনয় করা ওয়াসিম।
রাজধানীর শাহাবুদ্দিন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শনিবার দিবাগত রাত ১২টা ৪০ মিনিটে এই নায়কের মৃত্যু হয়েছে।
প্রখ্যাত চিত্রপরিচালক এস এম শফীর হাত ধরে চলচ্চিত্রজগতে অভিষেক ঘটে ওয়াসিমের। ১৯৭২ সালে শফী পরিচালিত ‘ছন্দ হারিয়ে গেলো’ চলচ্চিত্রের সহকারী পরিচালক হন তিনি। এতে ছোট একটি চরিত্রে অভিনয়ও করেন। ১৯৭৪ সালে আরেক প্রখ্যাত চিত্রনির্মাতা মহসিন পরিচালিত ‘রাতের পর দিন’ চলচ্চিত্রে প্রথম নায়ক হিসেবে আত্মপ্রকাশ তাঁর। চলচ্চিত্রটির অসামান্য সাফল্যে রাতারাতি সুপারস্টার বনে যান তিনি। তবে ১৯৭৬ সালে মুক্তি পাওয়া এস এম শফী পরিচালিত ‘দি রেইন’ সিনেমা তাঁকে ব্যাপক পরিচিতি এনে দেয়।
নায়ক ওয়াসিমের পুরো নাম মেজবাহ উদ্দীন আহমেদ। তাঁর উল্লেখযোগ্য সিনেমার তালিকায় আছে—দি রেইন, ডাকু মনসুর, জিঘাংসা, কে আসল কে নকল, বাহাদুর, দোস্ত দুশমন, মানসী, দুই রাজকুমার, সওদাগর, নরম গরম, ইমান, রাতের পর দিন, আসামি হাজির, মিস লোলিতা, রাজ দুলারী, চন্দন দ্বীপের রাজকন্যা, লুটেরা, লাল মেম সাহেব, বেদ্বীন, জীবন সাথী, রাজনন্দিনী, রাজমহল, বিনি সুতার মালা, বানজারান, মিস ললিতা ইত্যাদি।