শ্রদ্ধা-ভালোবাসায় ওয়াসিম ও মহসীনের চিরবিদায়

শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় চিরবিদায় জানানো হলো ঢাকাই সিনেমার সত্তর-আশি দশকের অ্যাকশন এবং ফোক ফ্যান্টাসি চিত্রনায়ক ওয়াসিম ও একুশে পদকপ্রাপ্ত প্রবীণ অভিনেতা এস এম মহসীনকে।
আজ রোববার বাদ জোহর রাজধানী গুলশানের আজাদ মসজিদ ও বনানী কবরস্থানে জানাজা শেষে দুপুর ২টা ৪৫ মিনিটের দিকে চিত্রনায়ক ওয়াসিমের দাফন সম্পন্ন হয়। এ সময় তাঁর পরিবারের সদস্যসহ চলচ্চিত্র অঙ্গনের ঘনিষ্ঠজনেরা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে, বেলা ২টা ৪০ মিনিটে রাষ্ট্রীয়ভাবে গার্ড অব অনার জানানো হয় বীর মুক্তিযোদ্ধা ও প্রবীণ অভিনেতা এস এম মহসীনকে। এরপর পরীবাগ মসজিদে জানাজা শেষে তাঁকে আজিমপুর কবরস্থানে দাফন করা হয়।
চিত্রনায়ক ওয়াসিম রাজধানীর শাহাবুদ্দিন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শনিবার দিবাগত রাত ১২টা ৪০ মিনিটে মারা যান। তার কয়েক ঘণ্টা পর রোববার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে রাজধানীর বারডেম জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান একুশে পদকপ্রাপ্ত অভিনেতা এস এম মহসীন।
প্রখ্যাত চিত্রপরিচালক এস এম শফীর হাত ধরে চলচ্চিত্রজগতে অভিষেক ঘটে ওয়াসিমের। ১৯৭২ সালে শফী পরিচালিত ‘ছন্দ হারিয়ে গেলো’ চলচ্চিত্রের সহকারী পরিচালক হন তিনি। এতে ছোট একটি চরিত্রে অভিনয়ও করেন। ১৯৭৪ সালে আরেক প্রখ্যাত চিত্রনির্মাতা মহসিন পরিচালিত ‘রাতের পর দিন’ চলচ্চিত্রে প্রথম নায়ক হিসেবে আত্মপ্রকাশ তাঁর। চলচ্চিত্রটির অসামান্য সাফল্যে রাতারাতি সুপারস্টার বনে যান তিনি। তবে ১৯৭৬ সালে মুক্তি পাওয়া এস এম শফী পরিচালিত ‘দি রেইন’ সিনেমা তাঁকে ব্যাপক পরিচিতি এনে দেয়।
হাতেগোনা অল্প কিছু সিনেমা ছাড়া ওয়াসিমের প্রতিটি সিনেমাই সুপারহিট হয়েছিল। ১৯৭৩ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত চলচ্চিত্রে শীর্ষ নায়কদের একজন ছিলেন তিনি।
প্রয়াত এস এম মহসীন মঞ্চ ও টেলিভিশন অভিনেতা। তিনি ২০১৮ সালে বাংলা একাডেমির সম্মানিত ফেলো লাভ করেন। অভিনয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য বাংলাদেশ সরকার তাঁকে ২০২০ সালে একুশে পদক প্রদান করে।