‘মাকে আমার পড়ে না মনে’

“মা বুঝি ওই সন্ধ্যাতারায় থাকে। আমার পোষা বিড়ালটাকে ধুম কুয়াশার আড়াল থেকে চুপিসারে ডাকে। আমরা কি মায়ের কাছ থেকে সন্ধ্যাতারার মতোই যোজন যোজন দূরে সরে যাচ্ছি? বিলাসী নগরজীবনের মোহে মায়ের মমতা ম্লান হচ্ছে প্রতিদিন। একক পরিবারে মায়ের ভালোবাসা কি আজ তুচ্ছ? একজন মায়ের জীবনচিত্র নিয়েই মূলত রোজার ঈদের বিশেষ নাটক ‘মাকে আমার পড়ে না মনে’ নাটকের কাহিনী। কামরুলের চিত্রনাট্য আমাকে মুগ্ধ করায় ফেরদৌসী মজুমদার আপাকে নিয়ে নাটকটা বানানোর পরিকল্পনা করি। তিনি খুব আনন্দচিত্তে কাজটা করেছেন। এটা আমার একটা ড্রিমওয়ার্ক। প্রত্যাশা করছি, নাটকটা দর্শকের ভালো লাগবে।” কথাগুলো বলছিলেন নির্মাতা শিমুল সরকার। আসছে ঈদের জন্য তিনি নির্মাণ করছেন এক পর্বের নাটক ‘মাকে আমার পড়ে না মনে’।
এই নাটকে অভিনয় প্রসঙ্গে বর্ষীয়ান অভিনেত্রী ফেরদৌসী মজুমদার বলেন, “নির্মাতা শিমুল সরকার এ নাটকের মা (শাপলা) চরিত্রে আমাকে পছন্দ করেছেন। স্ক্রিপ্টের প্রথম দৃশ্যে চোখ বুলাতে গিয়ে এক নিমেষে পুরোটা পড়ে ফেলি। সংলাপে, নাটকীয়তায়, ভাষাশৈলীতে অনেক দিন পর একটা দারুণ গল্প পেয়ে শিমুলকে জানিয়ে দিই, কাজটা আমি করছি। আউটডোরের প্রচণ্ড গরম সত্ত্বেও মনে গভীর আনন্দ নিয়ে একটা ক্লাসিক্যাল কাজ করেছি। আমার ধারণা, এই ঈদে ‘মাকে আমার পড়ে না মনে’ হবে অন্যতম সেরা নাটক।”
ফেরদৌসীর স্বামী চরিত্রে অভিনয় করছেন অভিনয়জগতের আরেক দিকপাল হাসান ইমাম। তাঁর ভাষ্য, ‘নাটকের গল্প খুব ছোট্ট, কিন্তু এর ব্যাপ্তি বিশাল। আজকাল সুবচন তো নির্বাসনেই গেছে। এই নাটকের হাত ধরে বাংলা নাটকে সুবচন ফিরে আসুক, এটাই প্রত্যাশা।’
নাটকের আরেক অভিনেত্রী রানী সরকার বললেন, ‘ফেরদৌসী মজুমদার মেমের মতন অভিনেত্রী যুগে যুগে জন্মায় না। তাঁর সঙ্গে নাটকের শেষ দৃশ্যে কাজ করে ভীষণ তৃপ্তি পেয়েছি। আমার ধারণা, নাটকটি দর্শকের মন জয় করবে।’
হৃদয়গ্রাহী সংলাপ ও মর্মস্পর্শী কাহিনীর গুণে ‘মাকে আমার পড়ে না মনে’ দর্শক হৃদয়ে স্থায়ী আসন পাবে বলেই নাটক-সংশ্লিষ্ট সবাই ভাবছে। তারকাবহুল এ নাটকের বিভিন্ন চরিত্র রূপায়ণে আছেন ফেরদৌসী মজুমদার, হাসান ইমাম, খালেদা আক্তার কল্পনা, ফারিয়া শবনম, শামীমা তুষ্টি, সাব্বির আহমেদ, বীথি রানী সরকার, আর জে সায়েম, আহসান কবির, তারিক স্বপন প্রমুখ।