এনটিভিকে নিজের বাড়ির মতো মনে হয় : নাবিলা

মাসুমা রহমান নাবিলা দেশের জনপ্রিয় উপস্থাপকদের মধ্যে একজন। ক্যারিয়ারের শুরুতে এনটিভির ‘জানার আছে বলার আছে’ অনুষ্ঠানে উপস্থাপনা করে ব্যাপক পরিচিতি পান তিনি। এনটিভি ১৫ বছরে পদার্পণ করেছে আজ। এনটিভিতে কাজের অভিজ্ঞতা ও অন্য আরো বিষয় নিয়ে এনটিভি অনলাইনের সঙ্গে কথা বলেছেন নাবিলা।
এনটিভি অনলাইন : এনটিভি ১৫ বছরে পদার্পণ করেছে আজ। কেমন লাগছে আপনার?
নাবিলা : খুব ভালো। প্রথমেই এনটিভিকে শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা জানাতে চাই। এনটিভিকে নিজের বাড়ির মতো মনে হয়। এটা বলছি কারণ, নিজের বাড়ি ও এনটিভির মধ্যে কোনো পার্থক্য আমি খুঁজে পাই না। যখন অনেক দিন পর এনটিভিতে অনুষ্ঠান করতে আসি, তখন মনে হয় নিজের বাড়িতে আবার ফিরে এসেছি।
এনটিভি অনলাইন : ‘জানার আছে বলার আছে’ অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করার স্মৃতি আপনার কি মনে পড়ে?
নাবিলা : সব সময়। এই অনুষ্ঠানের কথা কখনো ভোলা যাবে না। এটা আমার ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় অনুষ্ঠান ছিল। তখন আমি অনেক ছোট ছিলাম। আমি আর দেবাশীষ দাদা এই অনুষ্ঠানের উপস্থাপক ছিলাম। সপ্তাহে দুজন ভাগাভাগি করে অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করতাম। তখন এনটিভির মেকআপ আর্টিস্ট ছিলেন খালেদ ভাই। ২০০৮ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা আমি করেছি। তখন আমি এনটিভির ‘হিপ হিপ হুররে’ নামে একটি অনুষ্ঠানও উপস্থাপনা করেছি। এনটিভির অনুষ্ঠানপ্রধান মোস্তফা কামাল সৈয়দ আঙ্কেল আমাকে অনেক অনুপ্রাণিত করেছেন।
এনটিভি অনলাইন : এখন তো আপনি একজন তারকা উপস্থাপক। এনটিভিতে এখন উপস্থাপনা করার অনুভূতি কেমন আপনার?
এনটিভি অনলাইন : সত্যি বলছি, আমার অনুভূতি একটুও বদলায় নেই। এখন তো নিয়মিত অনুষ্ঠান করা হয় না। পয়লা বৈশাখ, ঈদ ও বিভিন্ন বিশেষ দিবসের অনুষ্ঠানের উপস্থাপনা করা হয়। তবে এনটিভিতে যখনই আসি, তখনই হোমলি ফিল করি। আর একটা বিষয় শেয়ার করি, এতগুলো বছর পার হওয়ার পরও ‘জানার আছে বলার আছে’ অনুষ্ঠানের সাড়া আমি পাই। বাইরে বের হলে এখনো কিছু ভক্ত আমাকে বলে, ‘আপু, আপনার জানার আছে বলার আছে অনুষ্ঠান থেকে আমি ৫০০ টাকার বই উপহার পেয়েছিলাম।’ ভ্ক্তদের কাছ থেকে এ ধরনের প্রতিক্রিয়া পেতে কার না ভালো লাগে, বলুন?