দেশ থেকে চলে যাওয়ার সময় মাকে মনে পড়ে : প্রিয়তি

মাকসুদা আক্তার প্রিয়তি। বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত আইরিশ মডেল,অভিনেত্রী ও সাবেক মিস আয়ারল্যান্ড। জানুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহে কিছুদিনের জন্য দেশে এসেছিলেন তিনি। আজ রাতের ফ্লাইটে আয়ারল্যান্ডে চলে যাবেন আইরিশ এই অভিনেত্রী। চলে যাওয়ার আগে এনটিভি অনলাইনের সঙ্গে কথা বলেছেন প্রিয়তি।
এনটিভি অনলাইন : এবার দেশে কেমন সময় কাটল আপনার?
মাকসুদা আক্তার প্রিয়তি : দুই বছর পর এবার দেশে এসেছিলাম। আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গে ভালো সময় কেটেছে। এ ছাড়া মিডিয়া ব্যক্তিত্বদের অনেকের সঙ্গে দেখা হয়েছে। অনেক চ্যানেল ও পত্রিকায় সাক্ষাৎকার দিয়েছি। যাঁরা পরিচিত কিংবা শুভাকাঙ্ক্ষী কম-বেশি সবার সঙ্গে কুশল বিনিময় হয়েছে।
এনটিভি অনলাইন : আপনি তো প্রতিবার দেশে আসলে সমাজ সেবামূলক কাজ করেন। এবার কী করেছেন?
মাকসুদা আক্তার প্রিয়তি : শীতার্ত ও গরীব মানুষদের জন্য এবার আমি অনেক কম্বল কিনেছিলাম। আমি নিজেই রাতের বেলা ধানমণ্ডি ও অন্য অনেক এলাকায় গিয়ে অনেক কম্বল ও শীতবস্ত্র বিতরণ করেছি।
এনটিভি অনলাইন : আপনার সন্তানরা কি আপনার সঙ্গে এসেছে?
মাকসুদা আক্তার প্রিয়তি : না। আবরাজ ও মৌনীরার স্কুল খোলা। তাই ওদের নিয়ে আসিনি। কারণ ওদের স্কুল থেকে তিন সপ্তাহ ছুটি পাওয়া সম্ভব নয়।
এনটিভি অনলাইন : এবার অন্য প্রসঙ্গে জানতে চাই। দেশের নাটক ও চলচ্চিত্রে কাজ করার প্রস্তাব তো পেয়েছিলেন। কিন্তু এখনো আপনাকে কোনো নাটক কিংবা চলচ্চিত্রে দেখা যায়নি? এর কারণ কী?
মাকসুদা আক্তার প্রিয়তি : খুব বেশি যে প্রস্তাব পাই তা কিন্তু নয়। যেসব পরিচালক আমার সঙ্গে ফেসবুকে যুক্ত আছেন কিংবা আমাকে চেনেন তাঁরা মাঝেমধ্যে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। সম্প্রতি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রে অভিনয় করার অনেক প্রস্তাব পেয়েছি। এবার অনেক ব্যস্ত ছিলাম। এর পরের বার দেশে আসলে ভালো কাজের প্রস্তাব পেলে করার চেষ্টা করব। আর দেশের চলচ্চিত্রে কাজ করার ইচ্ছা আমার রয়েছে। তবে সবার আগে চিত্রনাট্য পছন্দ হতে হবে। কাজের পরিবেশ ভালো হতে হবে।
এনটিভি অনলাইন : দেশ থেকে চলে যাওয়ার সময়এয়ারপোর্টে কাকে বেশি মনে পড়ে?
মাকসুদা আক্তার প্রিয়তি : দেশ থেকে চলে যাওয়ার সময় মাকে মনে পড়ে।খুব বেশি মিস করি মাকে। ২০০৯ সালে মা মারা গেছেন।