শুটিং সন্দেশ
কাজের ফাঁকে জয়া-সাচ্চুর আড্ডা

জমিয়ে আড্ডা দিচ্ছিলেন এ সময়ের জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান ও অভিনেতা শহীদুল আলম সাচ্চু। না, কারো বাসায় নয়; শুটিংয়ের ফাঁকে এফডিসির মেকআপ রুমে গতকাল ২৪ আগস্ট এই আড্ডা চলছিল। সাফি উদ্দিন সাফি পরিচালিত ‘পূর্ণদৈর্ঘ্য প্রেম কাহিনী-২’ ছবির শুটিং করছিলেন দুজন। কিন্তু কে না জানে, দুজনে মিলে আড্ডা ঠিক জমে না। তাই আমিও যোগ দিলাম। আড্ডা তিনজনে কিন্তু ভালোই জমে, যদিও আমার ভূমিকা শুধু প্রশ্নকর্তার।
শহীদুল আলম সাচ্চুকে জিজ্ঞেস করলাম, জয়া সম্পর্কে আপনার মূল্যায়ন কী? সাচ্চু স্মিত হেসে বললেন, ‘জয়া তরুণদের আইকন। আমি মনে করি, ববিতা আপার পরে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে জয়া তার জায়গাটা মজবুত করে নিয়েছে। জয়ার সব জানালা এখন উন্মুক্ত। আমার নিজের ভীষণ ভালো লাগে, কারণ জয়ার সঙ্গে আমার সম্পর্ক অনেক ভালো।’
সাচ্চুর কথার ফাঁকে জয়া যোগ করে বলেন, ‘আমি যখন নাটক ছেড়ে চলচ্চিত্রে কাজ করতে শুরু করি, তখন সাচ্চু ভাইকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম—সাচ্চু ভাই, আমি কি ঠিক পথে হাঁটছি? সাচ্চু ভাই তখন আমাকে উৎসাহ দিয়েছিলেন। আমি হয়তো নিজের চলার পথ নিজেই তৈরি করে নিয়েছি; কিন্তু সাচ্চু ভাইয়ের উৎসাহের কথা আমার এখনো মনে আছে।’ জয়ার কথা শেষ হতেই সাচ্চু বললেন, ‘জয়া শুধু ভালো অভিনেত্রী নয়, ও অনেক সুন্দর মনের মানুষও।’
‘পূর্ণদৈর্ঘ্য প্রেম কাহিনী-২’ ছবির গল্পে শহীদুল আলম সাচ্চু একজন বিজ্ঞাপন নির্মাতা থাকেন। আর জয়া সুপার মডেল চরিত্রে কাজ করছেন। ছবিতে দেখা যাবে, জয়া, শাকিব ও ইমনকে নিয়ে সাচ্চু কাজ করেন। এ তো গেল ছবির কাহিনী। বাস্তবে বিজ্ঞাপন নয়, চলচ্চিত্রই নির্মাণ করতে যাচ্ছেন শহীদুল আলম সাচ্চু; এবং সেটা খুব দ্রুত। ছবির চিত্রনাট্যের কাজ চলছে বলে জানান তিনি। সাচ্চুর ছবিতে জয়া থাকবে কি না প্রশ্ন করতেই তিনি হেসে উত্তর দেন, ‘এটা সময়ই বলে দেবে। জয়া আমার প্রিয় অভিনেত্রীও বটে। তাকে তো নিতেই চাই। এখন কিছু বলতে চাই না। সময় হলে সব জানা যাবে।’
জয়ার কি কোনো আপত্তি আছে, সাচ্চু যদি তাঁকে ছবিতে অভিনয়ের প্রস্তাব দেন? ‘আপত্তি থাকবে কেন? তবে সময়ই কথা বলবে। জানি না, কখন কী হয়?’ জয়ার সোজাসাপ্টা উত্তর। একটু পর ছবির শট দিতে হবে জয়াকে। তাই কথা শেষ করে ঝটপট মেকআপ নিতে শুরু করলেন গুণী এই অভিনয়শিল্পী। চোখ-মুখ দেখে বোঝা যাচ্ছে, চলচ্চিত্রের চরিত্রে ঢুকে যাচ্ছেন জয়া।