বহুল প্রতীক্ষিত মাহফুজ রহমানের গান শোনা যাবে আজ
![](http://103.16.74.218/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2019/06/07/photo-1559888686.jpg)
ঈদ উপলক্ষে ভক্তদের নতুন গান শোনাবেন ড. মাহফুজুর রহমান। আজ ঈদের তৃতীয় দিন রাত ১০টা ৩০ মিনিটে এটিএন বাংলায় প্রচারিত হবে তাঁর একক সংগীতানুষ্ঠান ‘মন থেকে রইল শুভ কামনা’।
অনুষ্ঠানে ১০টি রোমান্টিক গান গাইবেন ড. মাহফুজুর রহমান। গানগুলো শিরোনাম হলো ভুলে গেলে তুমি, মনের কারাগারে, শত চেষ্টাতেও, যে ক্ষতি, দেখছি যতই, আমার পৃথিবী, ফিরে এসো, চাঁদ মুখ, কোথায় হারালে এবং তুমি এক পা বাড়ালে।
সব গানের সুর করেছেন যৌথভাবে মান্নান মোহাম্মদ ও রাজেশ ঘোষ। গানের কথা লিখেছেন প্রদীপ সাহা, নাজমা মোহাম্মদ, মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন, শেখ রেজা শানু, এবং রাজেশ ঘোষ।
এরইমধ্যে টিভিতে দেখানো হচ্ছে গানের অনুষ্ঠানের প্রমো। সেখানে বলা হচ্ছে, বহুল প্রতীক্ষিত ড. মাহফুজ রহমানের গান শোনা যাবে আজ।
দেশের প্রথম স্যাটেলাইট টেলিভিশন চ্যানেল এটিএন বাংলার চেয়ারম্যান ড. মাহফুজুর রহমান। এটিএন নিউজেরও চেয়ারম্যান তিনি। একসময় তিনি ছিলেন সফল পোশাকশিল্প (গার্মেন্ট) ব্যবসায়ী। একাধিকবার জাতীয় রপ্তানি ট্রফিও পেয়েছেন। তাঁর প্রতিষ্ঠিত চ্যানেল এটিএন বাংলা পেয়েছে এমি অ্যাওয়ার্ডসহ বহু পুরস্কার। গান গাইতে ভালোবাসেন তিনি।
২০১৬ সালে মাহফুজুর রহমান ‘হৃদয় ছুঁয়ে যায়’ শিরোনামে প্রথম একক গানের অনুষ্ঠান করেন। ২০১৭-এর ঈদুল ফিতরে প্রচারিত হয় তাঁর গান নিয়ে অনুষ্ঠান ‘প্রিয়ারে’। একই বছর তাঁর একক সংগীতানুষ্ঠান ‘স্মৃতির আলপনা আঁকি’ ব্যাপক আলোচিত হয়। গত বছর তাঁর একক সংগীতানুষ্ঠান ‘বলো না তুমি কার’ এটিএন বাংলায় প্রচারিত হয়।
তবে তাঁর গাওয়া গান নিয়ে যাঁরা সমালোচনা কিংবা আলোচনা করেন, এসব নিয়ে একদমই চিন্তা করেন না মাহফুজুর রহমান। তিনি বলেন, ‘বিশেষ একটা শ্রেণি আছে, যারা সব সময় আমার পেছনে লেগে থাকে। আমি ভালো করলেও পেছনে কথা বলে, আবার খারাপ কিছু করলেও করে। আমি ব্যক্তিগতভাবে ফেসবুক পছন্দ করি না। ফেসবুকের ইতিবাচক অনেক ব্যাপার আছে। কিন্তু তরুণ প্রজন্ম এটার অপব্যবহার বেশি করছে।’
মাহফুজুর রহমানের গাওয়া উল্লেখযোগ্য গানগুলো হলো ‘স্মৃতির আলপনা আঁকি’, ‘কত সুন্দর তুমি’, ‘একা থাকার যন্ত্রণা’, ‘একটা মন দাও’ ইত্যাদি।
গান গাওয়ার পাশাপাশি মাহফুজুর রহমান ‘স্মৃতির আলপনা আঁকি’ শিরোনামে একটি উপন্যাসও প্রকাশ করেছেন। এ ছাড়া ‘ভালোবাসি তোমাকে’, ‘আরো সাবধান’, ‘বিদ্রোহ চরিদিকে’ এই চলচ্চিত্রগুলোর গল্প তাঁর লেখা ছিল।