কলকাতায় সম্মানিত হলেন আঁখি আলমগীর

বাংলাদেশের প্রখ্যাত সঙ্গীতশিল্পী আঁখি আলমগীরকে তাঁর কৃতিত্বের জন্য সংবর্ধনা জানালো পশ্চিমবঙ্গের একটি সংগঠন। কলকাতার ‘খোলা মন’ নামের ওই সংগঠনের তরফে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এই সম্মাননা প্রদান করা হয়। এ দিন সন্ধ্যায় কলকাতার বিড়লা অ্যাকাডেমিতে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শুধু আঁখি আলমগীরকেই নয়, বাংলাদেশে বিভিন্ন ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অবদানের জন্য পুরস্কার তুলে দেওয়া হয় বাংলাদেশের একঝাক ব্যক্তিত্বকে। যারমধ্যে রাজনীতি থেকে মানবসেবাসহ বিভিন্ন পেশার সঙ্গে নিয়োজিত উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্বরা উপস্থিত ছিলেন । তাঁরা হলেন বাংলাদেশের এমপি আলহাজ হাবিবুর রহমান মোল্লা, এমপি মহম্মদ ইসরাফিল আলম, এমপি আ্যাডভোকেট নুরজাহান বেগম মুক্তা, সদস্য সচিব শিক্ষক কর্মচারী কল্যাণ ট্রাস্টের অধ্যক্ষ মহম্মদ শাহজাহান আলম সাজু, বাংলাদেশ হামদর্দ ল্যাবরেটরির পরিচালক মার্কেটিং ডাক্তার হাকিম রফিকুল ইসলাম, অ্যাম্বাসাডার অব মাল্টি সার্ভ ইন্টারন্যাশনালের নেলী ইসলাম।
এদিন ‘খোলা মন’ নামক সংস্থার তরফে শুধু বাংলাদেশি কৃতীদেরই নয়, পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন সেক্টরে কৃতী ব্যক্তিদেরও সম্মাননা জ্ঞাপন করা হয়। পশ্চিমবঙ্গের তরফে সঙ্গীতশিল্পী সিদ্ধার্থ রায় (সিধু), অভিনেত্রী পাপিয়া অধিকারীসহ একঝাক কৃতীকেও সংবর্ধনা দেওয়া হয়। এদিন অতিথিদের সংবর্ধনা তুলে দেন পশ্চিমবঙ্গের পর্যটনমন্ত্রী ব্রাত্য বসু। পুরস্কার হিসেবে তিনি সংগঠনের তরফে উত্তরীয়, ফুলের তোড়া এবং মেমেন্টো তুলে দেন। ‘খোলা মন’ এই সংগঠনটির তরফে সভাপতি শ্যামল বিশ্বাস এবং সম্পাদক সুনিতাভ ঘোষাল বলেন, ‘দুই দেশের কৃতীদের হাতে এই ধরনের সংবর্ধনা তুলে দিতে পেরে আমরা যথেষ্ট খুশি।’ আগামীতেই এই ধরনের অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দুই বাংলার যোগসূত্রকে বৃদ্ধি করার প্রয়াস তাঁদের রয়েছে বলেও জানান।
এই সংবর্ধনা পাওয়ার পর বাংলাদেশের সঙ্গীতশিল্পী আঁখি আলমগীর বলেন, ‘কলকাতায় আসতে পেরে আমার খুব ভালো লাগছে। এখানকার শিল্পীদের সঙ্গে একমঞ্চে দাঁড়িয়ে সম্মাননা পেয়ে আমি যথেষ্ট গর্বিত এবং খুব খুশি হয়েছি। কলকাতা আমার ঘরের মতো। এখানকার সবাইকে আপনজন বলেই মনে হয়।’ তবে এইদিনের এই অনুষ্ঠানে দর্শক সংখ্যা কম থাকার দুঃখ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘আমার সঙ্গে আমার দুই মেয়েও কলকাতায় এসেছে। আমি কয়েকটা দিন কলকাতায় থাকব। কলকাতার বেশ কিছু জায়গা ঘুরে দেখে তারপর আমি বাংলাদেশে ফিরে যাব।’