শ্রোতাদের নতুন চমক দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন ঐশী

মেয়েটি ছোটবেলায় চিকিৎসক হতে চাইতেন। সেই সঙ্গে ছিল তাঁর গান গাওয়ার নেশা। তাঁর মা-বাবা গান গাইতেন। অবশ্য গানের হাতেখড়ি মায়ের কাছেই। এরপর রংপুর শিশু একাডেমিতে দীর্ঘদিন গান শেখেন তিনি। ২০০৬ সালে এনটিভির শিশুদের প্রতিযোগিতামূলক অনুষ্ঠান ‘শাপলা কুঁড়ি’তে গান বিভাগে অংশগ্রহণ করে তৃতীয় স্থান অধিকার করেন। বলছি এ সময়ের সংগীতশিল্পী ঐশীর কথা।
এ বছর ফেব্রুয়ারি মাসে প্রকাশ হয় ঐশীর প্রথম একক গানের অ্যালবাম ‘ঐশী এক্সপ্রেস’। অ্যালবামটির সুর ও সংগীতায়োজন করেন ইমরান। গানের কথা লিখেছেন রবিউল ইসলাম জীবন। প্রথম অ্যালবামের প্রতিটি গান দিয়ে খুব দ্রুত শ্রোতাদের কাছে পরিচিতি পান ঐশী।
এদিকে এ বছর উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা পাস করে রাজধানীর শমরিতা মেডিকেল কলেজে পড়ালেখা করছেন তিনি। কাজেই ছোটবেলার চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন পূরণ হতে চলেছে ঐশীর, সেটা বলাই যায়। এ প্রসঙ্গে ঐশী বলেন, ‘আমি চাই আমার প্রথম পরিচয় হোক সংগীতশিল্পী, এরপর চিকিৎসক। আর আমি মনে করি, গাই গাইতে হলে পাশাপাশি ভালো একটা পেশার সঙ্গে জড়িত হওয়া প্রয়োজন।
বর্তমানে ঐশী কিছু মিশ্র অ্যালবামের গানে কণ্ঠ দিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন। সেই সঙ্গে করছেন কনসার্টও। সম্প্রতি পার্থ মজুমদারের সুর ও সংগীতায়োজনে একটি গানে কণ্ঠ দিয়েছেন তিনি। চলচ্চিত্রে প্লে ব্যাক করার ইচ্ছেও আছে ঐশীর। খুব শিগগির চলচ্চিত্রে প্লে-ব্যাক করবেন তিনি, এ রকম কথাবার্তাও চলছে। এদিকে চলচ্চিত্রে অভিনয় করারও প্রস্তাব পাচ্ছেন তরুণ এই কণ্ঠশিল্পী।
ঐশী বলেন, ‘যখন পত্রিকায় আমার কোনো ফটোশুট কেউ দেখে, ঠিক এর পর পরই আম্মুর কাছে অনেক ফোন আসে। চলচ্চিত্রজগতের অনেকেই ফোন করে আমাকে অভিনয় করার প্রস্তাব দিয়েছেন। কিন্তু অভিনয় করার আপাতত ইচ্ছে আমার নেই। আমি গান ও পড়াশোনা নিয়ে ব্যস্ত থাকতে চাই। আর সামনে বেশ কিছু চমক নিয়ে শ্রোতাদের সামনে উপস্থিত হব।’
ঐশীর প্রথম অ্যালবামে বিভিন্ন ধরনের গান থাকলেও ফোক গান ছিল না। কিন্তু ঐশী ফোক গান গাইতেই বেশি পছন্দ করেন। কনসার্টে ফোক গান করার অনুরোধও বেশি পান তিনি। তাই সামনে ফোক গানের অ্যালবাম করার ইচ্ছে আছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘পুরোপুরি ফোক গানের অ্যালবাম এখন বের করার ইচ্ছে নেই। তবে আমার পরবর্তী অ্যালবামে ফোক গান থাকবে। ফোক গানই আমার বেশি প্রিয়।’