অপূর্ব ভাইয়ার অন্ধভক্ত ছিলাম : মিমো
![](http://103.16.74.218/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2015/04/03/photo-1428057396.jpg)
অপূর্ব অনেক শান্ত প্রকৃতির অভিনেতা। খুব গুছিয়ে কথা বলার সুখ্যাতি আছে তাঁর। সম্প্রতি অপূর্ব নতুন একটি নাটকের কাজ শেষ করলেন। হারুন-অর-রশিদ প্রিন্স পরিচালিত ‘কবিতা ও জীবন’ নাটকে অপূর্বের স্ত্রীর ভূমিকায় অভিনয় করেছেন মিমো। আসছে ঈদে নাটকটি একটি বেসরকারি চ্যানেলে প্রচারিত হবে।
‘কবিতা ও জীবন’ নাটকে দেখা যাবে, নিজের স্ত্রীকে খুন করতে চান অপূর্ব। মিমোকে কেন অপূর্ব খুন করতে চান এটা জিজ্ঞাসা করতেই মিমো বলেন, ‘আমার অপরাধ আমি বিয়ের পরও অন্যজনকে নিয়ে কবিতা লিখেছি। সেই কবিতা আমার বর দেখে অনেক রেগে যায়। আমার কাছে জানতেও চায় না কবে, কখন, কাকে নিয়ে কবিতাটা লিখেছি। কোনোকিছু না জেনে শুধু কবিতা পড়েই সে আমাকে খুন করার সিদ্ধান্ত নেয়।’
শেষপর্যন্ত কি খুন করেছিল? এমন প্রশ্ন শুনে মিমো বললেন, ‘না, শেষপর্যন্ত আমি খুন হইনি। তবে নাটকে অনেক ভালো গল্প রয়েছে। নবদম্পতিরা অনেক কিছু শিখতে পারবেন নাটকটি দেখে। এখন অনেকেই পরকীয়ায় আসক্ত হন, যা আমাদের সমাজের জন্য প্রীতিকর কোনো ঘটনা নয়। পরকীয়া হচ্ছে বলেই স্বামীরা তাঁদের বউকে সন্দেহের বশে খুন করার মতো সিদ্ধান্ত নেন। তবে এই নাটকে আমি পরকীয়া করিনি। শেষ দৃশ্যে আমার বরের ভুল ভাঙে।’
মিমো প্রথম নাটকে কাজ করেছিলেন অপূর্বের বিপরীতে। ফেরদৌস হাসানের পরিচালনায় ‘বন্ধু আমার’ নাটকে তাঁরা প্রথম জুটি বেঁধে কাজ করেছিলেন। এ পর্যন্ত তাদের দুজনের নাটকের সংখ্যা ৩০টিরও ওপরে।
এ প্রসঙ্গে মিমো বলেন, ‘ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়া অবস্থায় চয়নিকা চৌধুরীর পরিচালনায় একটি নাটকে অপূর্ব ভাইয়ার অভিনয় প্রথম দেখি। নাটকে অপূর্ব ভাইয়ার সহশিল্পী ছিলেন তিন্নি। নাটক দেখার পর আমি কল্পনা করতে থাকি, ইস! তিন্নি আপুর জায়গায় যদি আমি থাকতাম! অপূর্ব ভাইয়ার অন্ধভক্ত ছিলাম আমি। আমার স্বপ্নের নায়ক ছিলেন তিনি। স্বপ্ন এখন সত্যি হয়েছে। একসঙ্গে অনেক কাজ করছি। অপূর্ব ভাইয়া কাজে অনেক সাহায্য করেন।’