সুস্থ হয়ে উঠছেন সাইফ আলী খান
বলিউড অভিনেতা সাইফ আলী খানের শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে। তিনি সুস্থ হয়ে উঠছেন এবং সোমবারের মধ্যে তাকে ছেড়ে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। গত বুধবার রাতে বান্দ্রার নিজ বাড়িতে হামলার শিকার হন সাইফ আলী খান।
পরে মেরুদণ্ডে আটকে যাওয়া ছুরির একটি অংশ অপসারণের জন্য বৃহস্পতিবার জরুরি অস্ত্রোপচার করা হয় তাকে। এরপর শুক্রবারই তাকে আইসিইউতে থেকে একটি বিশেষ কক্ষে স্থানান্তরিত করা হয়।
ভারতীয় গণমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসকে লীলাবতী হাসপাতালের সিওও ডা. নীরজ উত্তমণি বলেন, ‘শুক্রবার দুপুরের দিকে আমরা সাইফ আলীকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ) থেকে তাঁকে আলাদা কক্ষে স্থানান্তরিত করি। তিনি এখন বিপদমুক্ত। একইসঙ্গে খুব চনমনেও। আশা করছি আমরা আগামী দুই থেকে তিন দিনের মধ্যে ডিসচার্জ করে দিতে পারব।’
বৃহস্পতিবার অভিনেতার মেরুদণ্ড থেকে ছুরি বের করতে এবং মেরুদণ্ডের ফুটো হওয়া তরল মেরামত করতে হাসপাতালের চিকিৎসকরা সাড়ে পাঁচ ঘণ্টার অস্ত্রোপচার করেন।
এ বিষয়ে ডা. উত্তমণি হিন্দুস্তান টাইমসকে বলেন, ‘ভোর ৫টায় অস্ত্রোপচার শুরু হয়ে সকাল সাড়ে ১০টায় শেষ হয়। রাত ২টা নাগাদ তার উপর হামলা হয়েছিল।’
লীলাবতী হাসপাতাল সূত্রের বরাতে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাইফকে ছুরি দিয়ে এত জোরে আঘাত করা হয়েছিল যে এটি ভেঙে তার পিঠে ঢুকে যায়। শরীরের ভিতর থেকে পাওয়া দুই ইঞ্চি ছুরির টুকরোটি পুলিশকে দেওয়া হয়েছে, যা এই মামলার অন্যতম প্রমাণ।
সাইফের গোটা শরীরে ছয়টি ছুরিকাঘাতের ক্ষত ছিল, যার মধ্যে দুটি গভীর, দুটি মাঝারি ও দুটি অগভীর ছিল। তার বাম হাত ও ঘাড়ের দুটি গভীর ক্ষত প্লাস্টিক সার্জারি টিম মেরামত করেছে। সব মিলিয়ে ২০টি সেলাই পড়েছে অভিনেতার শরীরে।
ডা. উত্তমণি সাইফের সাহস ও মনোবলের প্রশংসা করে আরও জানিয়েছেন, ‘আমি তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখেছি এবং সে তার ছোট ছেলে তৈমুরকে নিয়ে সিংহের মতো হেঁটে হাসপাতালে প্রবেশ করেন। তিনি সত্যিকারের নায়ক। চলচ্চিত্রে নায়ক হিসেবে অভিনয় করা অন্য বিষয়। কিন্তু বাস্তব জীবনে তিনি নায়কের মতো কাজ করেছেন। সে ভালো আছেন এবং ধীরে ধীরে সেরে উঠছেন। আপাতত খুব বেশি মানুষকে সাইফের ঘরে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না, আমরা চাই উনি বিশ্রামে থাকুক।’