মাসিক অনিয়মিত হয় কেন, সমাধান কী
নারীর খুবই সাধারণ একটি সমস্যা অনিয়মিত মাসিক বা পিরিয়ড। বিশেষ করে বয়ঃসন্ধিকালে অনেকের অনিয়মিত মাসিকের সমস্যা দেখা দিচ্ছে। এর কারণ আজ আমরা একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছ থেকে জানব।
এনটিভির সরাসরি স্বাস্থ্যবিষয়ক আয়োজন ডাক্তার আছেন আপনার পাশে-র একটি পর্বে এ বিষয়ে কথা বলেছেন এনাম মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হসপিটালের গাইনি অ্যান্ড অবস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. তাহমিনা খানম। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ডা. শারমিন জাহান নিটোল।
সঞ্চালকের এক প্রশ্নের জবাবে ডা. তাহমিনা খানম বলেন, আউট পেশেন্ট ডিপার্টমেন্টে আমরা দেখি, বিশেষ করে টিনএজ গ্রুপ, যারা স্কুল গোয়িং চিলড্রেন অথবা কলেজ গোয়িং ফিমেল এবং ওদের দেখা যায় যে ওজন বেড়ে যায়। অনিয়ন্ত্রিত ওজন। দেখা যায় ওভার ওয়েট বা ওবেসিটির জন্য এ সমস্যাগুলো মেইনলি হয়। তাতে হরমোনের ইমব্যালান্স হয়।
ডা. তাহমিনা খানম আরও বলেন, হরমোনের ইমব্যালান্স বলতে আমরা সাধারণত মাসিকের শুরুতে এক ধরনের হরমোন থাকে, সেটা হলো ফলিকুল স্টিমুলেটিং হরমোন। সেটা ডিমটাকে তৈরি করার জন্য থাকে। মাসিকের মাঝামাঝি সময়ে ডিমটা যখন পরিপক্ক হয়ে যায়, তখন সেটাকে রিলিজ করার জন্য—এলেইস বলি আমরা, সেই হরমোনে আসতে হয়। তখন এ দুটি হরমোনের ইমব্যালান্স হয়।
ডা. তাহমিনা খানম যুক্ত করেন, পেশেন্ট আমাদের কাছে এসে বলে, মাসিক ইরেগুলার। দেখা যায় মাসিক দুই মাস, তিন মাস; অনেক সময় ছয় মাস, এক বছর পর পরও হয়। এবং তার সাথে অবাঞ্ছিত লোম বলি, দেখা যায় ঠোঁটের ওপর, গালে; এক্সেস লোম থাকে এবং সেটার জন্য কিছুটা বিব্রত হয়। অনিয়মিত মাসিকের সাথে সাথে অনেকগুলো সমস্যা দেখা দেয়।
নারী ও শিশুর বিভিন্ন রোগ ও এর সমাধান জানতে উপর্যুক্ত ভিডিওটি সম্পূর্ণ দেখুন।