মহৎ পেশার মানুষ
মানুষের ক্ষতি করা সহজ, উপকার করা কঠিন : শুভাগত চৌধুরী

মিটফোর্ড হাসপাতালের একটি কক্ষ। মৃদু আলো জ্বলছে। চারদিকে কান্নার রোল। কিছুক্ষণ আগে ডিপথেরিয়ায় আক্রান্ত একজন রোগী মারা গেছেন। মেয়েটির লাশের পাশে দাঁড়িয়ে কাঁদছিলেন তার সেবাদানকারী চিকিৎসক। মেয়েটিকে বাঁচানোর জন্য যা করা দরকার, তার সবটুকুই করেছিলেন চিকিৎসক। তবুও বাঁচাতে পারেননি রোগীকে। এতটাই ভারাক্রান্ত হয়ে গিয়েছিলেন যে নিজের চোখের পানি আর ধরে রাখতে পারেননি তিনি। হঠাৎ চিকিৎসক খেয়াল করলেন, তার ঘাড়ে হাতের স্পর্শ। পেছনে তাকিয়ে দেখলেন, মেয়েটির বাবা তার কাঁধে হাত রেখেছেন। মেয়েটির বাবা বললেন, কাঁদছেন কেন? এর চেয়ে ভালো চিকিৎসা আমি পৃথিবীর কোথাও পেতাম না। এই ঘটনা খুবই উৎসাহ দিয়েছিল চিকিৎসককে। তার মনে হলো, আসলে চিকিৎসক যদি সহানুভূতি দিয়ে চিকিৎসা দেন, তখন রোগী মারা গেলেও পরিবারের লোকজন বোঝেন।
যাঁর কথা বলছি, তিনি চিকিৎসাবিজ্ঞানের প্রথিতযশা লেখক অধ্যাপক ডা. শুভাগত চৌধুরী। চিকিৎসাবিজ্ঞান নিয়ে যাঁরা পড়াশোনা করেন, তাঁদের কাছে তিনি পরিচিত নাম। চির তরুণ, মিষ্টভাষী, সাহিত্যপ্রেমী এই মানুষটি তাঁর জীবনের গল্প শুনিয়েছেন এনটিভি অনলাইনকে।
চিকিৎসা পেশায় আসার ইচ্ছা ছিল না
চিকিৎসা পেশায় আমার আসার ইচ্ছা ছিল না। মা-বাবা চাইছিলেন ডাক্তারি পড়ি। আসলে আমি প্রথমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বায়োকেমিস্ট্রি বিভাগে ভর্তির সুযোগ পেয়েছিলাম। কিন্তু মা-বাবা বললেন ডাক্তার হওয়ার জন্য। আমার মা ডক্টর মঞ্জুশ্রী চৌধুরী ছিলেন সিলেট সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা। আমি ম্যাট্রিক ও ইন্টারমিডিয়েটে প্রথম মান পাই। মা-বাবার অনুরোধে সিলেট মেডিকেল কলেজে ভর্তি হলাম। এরপর এমবিবিএস পাস করলাম। মা-বাবাই অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করেছেন এ পেশায় আসার জন্য।
তবে পরবর্তী জীবনে অনুধাবন করেছি, আসলে বাবা-মার সিদ্ধান্তই ঠিক ছিল। আমি ভুল ছিলাম। আমি দেখলাম, এই পেশা যদি আসলেই ভালোভাবে করা যায়, তবে এটি মহান।
প্রথম চাকরি করি মিটফোর্ড হাসপাতালে। আর প্রথম শিক্ষকতা করি সিলেট মেডিকেল কলেজে। আমি কাজকে খুব উপভোগ করেছি। মিটফোর্ডে থাকাকালীন খুব ব্যস্ত সময় পার করেছি।
লেখালিখি
এ পর্যন্ত স্বাস্থ্যবিষয়ক ৫২টি বই লিখেছি। আরো আন্তর্জাতিক অনেক গবেষণামূলক লেখালিখি রয়েছে। মা সাহিত্যের শিক্ষক ছিলেন। রবীন্দ্রনাথ, নজরুল, সুকান্ত পড়েছি অনেক ছোটবেলা থেকে। আমি ছেলেবেলায় শান্তিনিকেতনের ছাত্র ছিলাম। আসলে প্রথমে আমি লেখালিখি করি। আমার সাহিত্য বিষয়ে লেখালিখি দেখে ডা. আবদুল্লাহ আল মুতী শরফুদ্দিন আমাকে চিকিৎসাবিজ্ঞানের বিষয় নিয়ে লিখতে বললেন। তখন সংবাদ পত্রিকায় সাহিত্য পাতা দেখতেন আবুল হাসনাত। এর পর প্রত্যেক মঙ্গলবার চিকিৎসাবিজ্ঞানকে সাহিত্যের ধাঁচে লেখা শুরু করলাম। চিকিৎসাবিজ্ঞান যেন সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছায়, এমনটাই ছিল ইচ্ছা।
চিকিৎসাবিজ্ঞান কেন একটি নির্দিষ্ট গণ্ডির লোকের মধ্যে বন্দি হয়ে থাকবে? চাইলাম, চিকিৎসাবিজ্ঞান সাধারণ মানুষের মধ্যে পৌঁছে যাক। কীভাবে পাঠকের কাছে সহজভাবে বিষয়টিকে পৌঁছে দেওয়া যায়, এটি ভাবার চেষ্টা করলাম। ভারতেও তখন এভাবে লেখা হয়নি। তো, শুরু করলাম, মুক্তধারা থেকে একে একে আমার ১২টা বই বেরোল। এসব লেখালিখিতে আমি ছিলাম প্রথম, অনেকটা নিঃসঙ্গ পথিক বলা যায়।
বিজ্ঞান বন্দি করে রাখার জিনিস নয়
আসলে বিজ্ঞান মানুষকে মুক্ত করবে। এ তো আর বন্দি করে রাখবার মতন কিছু নয়। যে চিকিৎসা করছে, তাকেও এটি বুঝতে হবে। আমাদের দেশের রোগীরা অনেক ভালো।
সিঙ্গাপুরে এনইউএইচ জেনারেল হাসপাতালে কাজ করেছি। থাইল্যান্ডের ব্যাংকক জেনারেল হাসপাতালে কাজ করেছি। একবার থাইল্যান্ডে বক্তৃতা করতে বলল। নিজের গবেষণা যা ছিল, সে বিষয়েই বক্তৃতা দিলাম। আমি তাদের কোলেস্টেরল সম্বন্ধে বললাম। উপস্থাপনাটি খুব সহজ হয়েছিল। পরের দিন জানতে পারলাম, যে হলে ৫০ জন মানুষের বসার জায়গা, সেখানে ১৫০ জন ছিল। তখন বুঝলাম, আসলে মানুষ সহজ কথা জানতে চায়। সাধারণ মানুষ সমাধান চায়। এর পর ইউরোপের হাসপাতালেও কাজ করেছি।
ছেলেবেলা
আমার জন্ম হয়েছিল সিলেটে, ১৯৪৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম দিনে, আকিলপুর জমিদারবাড়িতে। আমার বাবার নাম শৈলেন্দ্র কুমার চৌধুরী। মা ছিলেন আমার সেরা বন্ধু। অবারিত আকাশ, মেঠোপথ, এঁকেবেঁকে চলা নদী, কখনো মাঝি গান গেয়ে নৌকা চালায় নদীর বুকে। বৃষ্টি যখন নামে, তখন গ্রামকে ছবির মতো সুন্দর মনে হয়। বিরাট বড় বাড়ি। কাছারি ঘর, বৈঠকখানা, থাকার ঘর, নাটমন্দির, নিকানো উঠান, পেছনে পুকুর, শান বাঁধানো ঘাট। লোকজন গমগম করে সব সময়। ঠাকুরমার কোলে বসে গল্প শোনা। আদরে আহ্লাদে বড় হওয়া।
আমাকে প্রথমে শিশু স্কুলে ভর্তি করা হলো। অনেকটা কিন্ডারগার্টেনের মতো স্কুল এটি। শিশু স্কুলের পাট একদিন শেষ হলো। বাবা-মা আমাকে শান্তিনিকেতনে পড়ানোর জন্য পাঠাবেন বলে ঠিক করলেন। এর পর ১৯৫১ সালের একদিন শান্তিনিকেতনের জন্য রওনা হলাম। রবীন্দ্রনাথের গড়া আশ্রম শান্তিনিকেতন। ভর্তি হলাম পাঠ ভবনে। ছবির মতো সুন্দর। সে সময় উপাচার্য ছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছেলে রথীন্দ্রনাথ ঠাকুর। মামা, দিদিমা ও ছোটো মাসির সঙ্গে জীবন শুরু হলো শান্তিনিকেতনে। ছোট মামা আর মাসিও পড়তেন শান্তিনিকেতনে। এ এক নতুন পৃথিবী। লাল কাঁকড়ের পথ। ছায়াবীথি, ছাতিম গাছের সারি। আমলকী বন। পাঠ ভবন, সিংহসদনে, ঘণ্টা বাজত ঢং ঢং। আমরা আসন নিয়ে ছুটতাম। প্রার্থনা শেষে বাগানে কিছু সময় পরিচর্যা করতাম। এরপর আসন পেতে গাছের নিচে বসে স্কুল করা। তন্ময় হয়ে শুনি প্রজাপতিদের বিজ্ঞান পড়ানো। নলিনীদির বাংলা শেখানো। নন্দলাল বসু তখন অঙ্কন শেখান আমাদের। রবীন্দ্রসংগীতের গুরু শান্তিদেব ঘোষ। এর পর বছরখানেক শান্তিনিকেতনে পড়লাম। এরপর দাদু মারা গেলেন। দাদু মারা যাওয়ার পর পরিবারের লোকজন একজন একেক দিকে চলে গেলেন। আমি আবার পূর্ব পাকিস্তানে ফিরে এলাম। দুর্গাকুমার পাঠশালায় ভর্তি হলাম। এরপর সিলেট সরকারি বিদ্যালয় থেকে ১৯৬১ সালে ম্যাট্রিকে প্রথম বিভাগে পাস করলাম।
হয়তো আরো ভালো ফল করতে পারতাম। কিন্তু ম্যাট্রিক পরীক্ষার কিছুদিন আগে মা সিলেট থেকে অন্য জায়গায় খুলনায় বদলি হয়ে গেলেন। খুলনায় যাওয়ার পথে জাহাজডুবিতে আমার সব বই নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। তখন কোনোরকমে যা মনে ছিল, তাই দিয়ে পড়েছি।
এর পর খুলনা বিএল কলেজে ভর্তি হলাম। তখন এখ্নকার মতো এইচএসসি পরীক্ষা একসঙ্গে হতো না। প্রথম বর্ষ, দ্বিতীয় বর্ষ আলাদা আলাদা পরীক্ষা হয়ে ফলাফল হতো। প্রথম বর্ষে প্রথম বিভাগ পাইনি বলে ঢাকা কলেজ বা নটর ডেম কলেজে ভর্তির সুযোগ পাইনি। মনটা খারাপ ছিল। জগন্নাথ কলেজে ভর্তি হলাম। দ্বিতীয় বর্ষে জগন্নাথ কলেজে ভর্তি হওয়ার পর প্রথম বিভাগে পাস করলাম।
হরিপ্রসন্ন রায় ছিলেন তখন জগন্নাথ কলেজের ভাইস প্রিন্সিপাল। সুঠাম দেহের অধিকারী। সাদা ধুতি পরে কলেজে আসতেন। দেখলেই শ্রদ্ধা জাগত। উনি টেবুলেটর ছিলেন। যেদিন ফলাফল দেয়, সেদিন সকালবেলা বৃষ্টির মধ্যে ভিজে ঢাকা বোর্ডের সামনে গিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলাম। আশা, যদি ফলাফল জানতে পারি। মনে ভয় ছিল। এবার প্রথম বিভাগটা পেতেই হবে! বৃষ্টির মধ্যে লুঙ্গি কাছা দিয়ে হাঁটুজল পার হয়ে দাঁড়িয়ে রইলাম। হরিপ্রসন্ন রায় রুম থেকে বেরিয়ে আমাকে জড়িয়ে ধরে কেঁদে দিলেন। কান্না তো থামেই না। বললেন, ‘তুই আমার মানসম্মান রক্ষা করেছিস। তুই না এলে জগন্নাথ কলেজের মানসম্মান থাকত না।’ জগন্নাথ কলেজ থেকে সেবার আমি একমাত্র প্রথম বিভাগে পাস করছিলাম। এটি আমার জীবনে অনেক স্মরণীয় একটি ঘটনা।
আমার যুদ্ধ
মিটফোর্ড হাসপাতালে প্রথম কাজ করা শুরু করি। এর পর সিলেট মেডিকেল কলেজের শিক্ষক হই, ১৯৬৯ সালে। এরপর মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলো। আমরা একটি দল করলাম যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের সেবা দেওয়ার জন্য। এই চিকিৎসকদের মধ্যে অধ্যাপক শামসুদ্দীন শহীদ হন। শ্যামল কান্তি মারা গেলেন। আমি বেঁচে গিয়েছিলাম।
আমি মুক্তিযুদ্ধে যেতে পারিনি। আমার ছোট ভাই অরূপ গিয়েছিল। ২৫ মার্চের আগে ঢাকায় মায়ের অস্ত্রোপচার করতে হয়। ২৫ মার্চ রাতে আগুন জ্বলছে। মায়ের অস্ত্রোপচার হলো, মিটফোর্ড হাসপাতালে। ব্যান্ডেজ করার জন্য কাউকে পাওয়া যাচ্ছিল না। কোনোরকম একজন নার্স এসে ব্যান্ডেজ করলেন। আমি বড় ছেলে। মাকে এ অবস্থায় ফেলে যুদ্ধে যেতে পারিনি।
তবে মুক্তিযোদ্ধাদের বিভিন্নভাবে সাহায্য করেছি। আর্মস রেখে, তাঁদের কাছে পাঠিয়ে। ১৬ ডিসেম্বর আমাদের বাড়িতে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীরা আসে। তবে পরে চলে যায়। পরে জেনেছিলাম, আমি তাদের তালিকার মধ্যে ছিলাম।
১৯৭১ সালের পর পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োকেমিস্ট্রিতে প্রভাষক পদে যোগ দিই। আশির শেষের দিকে বিলেতে যাই প্রশিক্ষণ, শিক্ষাদীক্ষার কাজে। ইউরোপে গেছি, সাউথইস্ট এশিয়ার বিভিন্ন দেশেও যাওয়া হয়েছে। ১৯৯০ সালে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের ফিজিওলজি অ্যান্ড বায়োকেমিস্ট্রিতে যোগ দিই। ১৪ বছর কাজ করেছি এখানে। প্রফেসর অব বায়োকেমিস্ট্রি হয়েছি। ২০০০ সালে প্রিন্সিপাল এবং প্রফেসর হই, হেড অব বায়োকেমিস্ট্রি হিসেবে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল ফ্যাকাল্টির ডিন ছিলাম।
২০০৪ সালে অবসর নিলাম। এই বছর একটি প্রাইভেট মেডিকেলে যোগ দিলাম। ২০০৫ সালে বারডেমের ডিরেক্টর ল্যাবরেটরি সার্ভিস এবং অনারারি প্রফেসর অব বায়োকেমিস্ট্রি ইব্রাহিম মেডিকেল কলেজে যোগ দিলাম। এখন এখানেই আছি।
সুখের কথা বলতে চাই
জীবনে বাধা এসেছে অনেক। তবে এসব কথা না বলাই ভালো। প্রীতিকর বিষয়ই বলা ভালো। কারণ বাধাগুলো অতিক্রম করেই এসেছি। আমার এগিয়ে চলার পেছনে আমার স্ত্রী, সন্তানদের অনেক ভূমিকা রয়েছে। দুজন নারীর প্রতি আমি জীবনে খুব কৃতজ্ঞ। একজন মা, আরেকজন স্ত্রী কামনা চৌধুরী। আমার জীবনে তাঁদের অবদান অনেক বেশি। আমার কারো প্রতি কোনো অভিযোগ নেই। আমার কষ্টগুলো আমাকে আর স্পর্শ করে না। আমি সব সময় নিজেকে সুখী ভাবতে চাই। আনন্দের অতীতগুলো মনে করা ভালো।
আসলে জীবনে বাধাবিপত্তি না থাকলে সেটা তো পানসে হয়ে যাবে। চড়াই-উতরাইগুলোকেও তাই উপভোগ করতে হবে।
মাঝেমধ্যে মনে হয়, আমার আরো অনেক ডিগ্রি নেওয়া দরকার ছিল, সেগুলো নিইনি। মানুষের জন্য আরো অনেক কাজ করার রয়েছে। সেগুলো এখনো করে উঠতে পারিনি। মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানোর কাজ করতে চাই। মনে হয়, স্ত্রীকে অনেক দিক থেকে বঞ্চিত করেছি। সে অনেক মেধাবী ছিল। তবে তাঁকে ঘরকন্যায় আটকে ফেলেছি। আমার দেশ আমাকে অনেক দিয়েছে। আমি দেশের মানুষের জন্য করতে চাই। খুব সৎভাবে জীবনযাপন করেছি। তাই হয়তো বেশি অর্থ উপার্জন করতে পারিনি।
আমি অনেক সৌভাগ্যবান, এখনো আমি অনেক ব্যস্ত সময় পার করি। কাজের পাশাপাশি লেখালিখি করি। এবারের বইমেলায় আমার পাঁচটি বই বের হবে। জনসচেতনতামূলক কাজ করি। এ ছাড়া বিবিসি মিডিয়া অ্যাকশনে কাজ করছি।
মানবধর্মে বিশ্বাস করি
আমি মানবধর্মে বিশ্বাস করি। আমি মনে করি, মানুষের প্রেমই বড় ধর্ম। মানুষের ক্ষতি করা সহজ, উপকার করা কঠিন। সব সময় আমি চেষ্টা করি ব্যক্তিগতভাবে যেন কারোর ক্ষতির কারণ না হই।
যাঁরা এই পেশায় আসছেন
চিকিৎসা একমাত্র পেশা, যেখানে দুর্নীতি না করেই প্রচুর টাকা অর্জন করা যায়। সচ্ছলভাবে থাকা যায়। একটা সময় এটা মহান পেশা ছিল। এখন চিকিৎসকদের কসাই বলা হয়। কেন? এ প্রশ্নটা আসলে চিকিৎসকদের নিজের করা উচিত। আসলে রোগীকে আদর্শ সময় দেওয়া উচিত। যাঁরা চিকিৎসাশাস্ত্র নিয়ে পড়ছেন, তাঁদের আরো মানবিক হওয়া প্রয়োজন। যাঁরা এই পেশায় আসছেন, তাঁদের এটিকে ভালোবেসে আসা প্রয়োজন।