মামস হলে শিশুকে স্কুলে পাঠাবেন কি?

মামস ভাইরাসের কারণে হয়। এ সময় জ্বর, ঠান্ডা, গলা ফোলা ইত্যাদি সমস্যা থাকে। এ সময় শিশুদের স্কুলে পাঠানো ঠিক কি না এ বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ২৪৪৫তম পর্বে কথা বলেছেন ডা. মো. রিয়াজ মোবারক। বর্তমানে তিনি ঢাকা শিশু হাসপাতালের এইচডিইউ অ্যান্ড আইসুলেশন বিভাগে সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত আছেন।
প্রশ্ন : একটি শিশুর যদি মামস হয়, তাহলে কি তাকে অন্য বাচ্চাদের সঙ্গে মিশতে না দেওয়া, স্কুলে যেতে না দেওয়া—এসবের দরকার আছে?
উত্তর : স্কুলে তো সে অবশ্যই যেতে পারবে না। এটি একটি বড় পরিবেশ। এখানে বাতাসের মাধ্যমে ছড়ানো ভাইরাসগুলো অবশ্যই অন্যকে আক্রান্ত করবে। স্কুলে সবাই বাচ্চা। এখানে সবারই রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কম। সে ক্ষেত্রে আমাদের অবশ্যই সচেতন হতে হবে। মায়েদেরও সচেতন হতে হবে যে স্কুলে যাতে না পাঠায় এবং শিক্ষকদেরও সচেতন হতে হবে যেন বাচ্চাটি স্কুলে না আসে। অনেক শিক্ষক আছেন, যাঁরা বলেন আসতেই হবে, পরীক্ষাটা দিতেই হবে। এ ধরনের জিনিস যখন মায়েদের ওপর চাপিয়ে দেয়, সেটা খুব ভালো জিনিস হয় না।
আর আলাদা করা মানে একেবারে আইসোলেশন ওয়ার্ডে আলাদা করে দেওয়া। আমি মনে করি, এটা সম্ভব নয়। কারণ, তাদের তো কিছুটা চলাফেরা করতে হবে। তবে একজনের খাবার আরেকজন খেলে বা জড়িয়ে ধরলে এ সমস্যা হবে, এমন কোনো কথা নেই। এটা বাতাসের মাধ্যমে যেকোনোভাবে ছড়াতে পারে। সুতরাং পুরোপুরি আলাদা না করলেই কিছুটা সচেতন হতে হবে। এর কিছু কারণ আছে। গাল ফোলা নিয়ে অনেক বাচ্চার সামনে এলে অন্য মায়েরাও আতঙ্কিত হবে। আর আরেকটি জিনিস হলো, যতটা সম্ভব অন্য বাচ্চাদের কাছ থেকে দূরে রাখা।