স্কুলে যাওয়া বাচ্চাদের খাবার-দাবার কেমন হবে?

নতুন স্কুলে যাচ্ছে এমন একটি বাচ্চার খাবার-দাবারের রুটিনে অনেক পরিবর্তন আসে। এ বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ২৪৫১তম পর্বে কথা বলেছেন ডা. মো. আবিদ হোসেন মোল্লা। বর্তমানে তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজের শিশু বিভাগের বিভাগীয় প্রধান হিসেবে কর্মরত আছেন।
প্রশ্ন : যেসব বাচ্চা নতুন নতুন স্কুলে যায়, তাদের খাবারে তো একটি বড় ধরনের পরিবর্তন আসে, রুটিনে পরিবর্তন আসে। ওই সময়ে মা-বাবারা চিন্তিত থাকেন যে কীভাবে খাওয়াবেন। এ বিষয়টি নিয়ে একটু বলেন?
উত্তর : স্কুলে যায় যেসব বাচ্চা, তাদের সাধারণত পাঁচ বছর, চার বছর হয়ে গেছে। আমাদের আসলে সব সময়ই একটি জিনিস করার দরকার আছে বাচ্চাদের সঙ্গে, আমাদের কাউন্সেলিং করার প্রয়োজন আছে। তবে আমরা একে এড়িয়ে যাই। আমরা কথা বলতে চাই না। তাদের সঙ্গে কিন্তু কথা বলতে হবে। ভাবের আদান-প্রদান করতে হবে।
আমাদের বাড়ির বাইরে কিন্তু এখন এত এত বিজ্ঞাপন, ফাস্টফুড, এগুলো বাচ্চাদের প্রলুব্ধ করে রেখেছে, সেটা থেকে কীভাবে যে ফিরিয়ে আনব? তবে যে জিনিসটা খুব মুখোরোচক, সেটির কিন্তু দীর্ঘমেয়াদি ভালো প্রভাব নেই। আমাদের দেশে একসময় পুষ্টির সমস্যা ছিল। কিন্তু এই সমস্যাটা এখন অনেক কমে এসেছে। এটা এখন স্থূলতায় চলে গেছে। শিশুর ওজনাধিক্যের সমস্যা এখন অনেক বেড়ে গেছে। কেন বেড়ে গেছে? ওই যে বাড়ির ভেতর বসে, ঠান্ডা ঘরের ভেতর বসে সে টেলিভিশন, কম্পিউটার দেখছে, কায়িক পরিশ্রম নেই—এগুলো নম্বর এক।
দুই নম্বর হলো, এসব খাবারের প্রভাব। বাজার থেকে যেসব খাবার খাচ্ছে, এগুলোতে শিশুটি স্থূলকায় হচ্ছে। অল্প বয়সে ডায়াবেটিস, অল্প বয়সে উচ্চ রক্তচাপ, কোলেস্টেরল বাড়ছে, স্লিপ এপনিয়া হচ্ছে। এ ধরনের অনেক সমস্যা চলে আসছে। যেটি ভীষণভাবে অনাকাঙ্ক্ষিত। যেসব বাচ্চা আসে, তারা নড়তে পারে না। শ্বাস নিতে পারে না। হাঁপাচ্ছে। এই জিনিসগুলো আমাদের খুব খেয়াল করতে হবে।
আমি মা-বাবাকে জিজ্ঞেস করি, আপনি কোন খাবারটা খেয়েছেন? সে বলে, বাসার রান্না করা খাবার খেয়েছি। বাচ্চাটিকে কী খাইয়েছেন? তখন বলে, বাজারের কেনা খাবার খাইয়েছি। তাহলে আপনি বাড়িতে বাসার তৈরি সুন্দর একটি খাবার খেলেন। আর আপনার আদরের সন্তান তাকে আপনি বাইরের একটি আজেবাজে খাবার কিনে এনে খাওয়ালেন। এটা কেমন একটি বিষয়, তাই না? তাহলে আমাদের এই বিষয়গুলো বুঝতে হবে।