শিশুর ত্বকের রোগের চিকিৎসায় কী করবেন?

শিশুদের ত্বকের বিভিন্ন সমস্যায় সঠিক চিকিৎসা জরুরি। নয়তো রোগ জটিল হয়ে তার দৈনন্দিন কার্জক্রম ও মেধার বিকাশ ব্যাহত হতে পারে। এনটিভির নিয়মিত আয়োজন ‘স্বাস্থ্য প্রতিদিন’ অনুষ্ঠানের ২৪৫৪তম পর্বে এ বিষয়ে কথা বলেছেন ডা. মো. রোকন উদ্দিন। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালের চর্ম ও যৌন বিভাগের পরামর্শক হিসেবে কর্মরত।
প্রশ্ন : বাচ্চাদের ত্বকের রোগের ক্ষেত্রে চিকিৎসা পদ্ধতি কী?
উত্তর : সাধারণত আমরা দেখি, কেউ যখন চিকিৎসকের কাছে আসছে, চিকিৎসক ওষুধ লিখে দিচ্ছেন। তবে চিকিৎসক যে কথাগুলো বাবা-মাকে বলছেন, সেগুলোতে গুরুত্ব দিতে হবে। ধরুন, এটোপিক ডার্মাটাইটিস। এটা দুই বছর পর্যন্ত বেশি বেশি হতে পারে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে ধরে নিই ১২ বছর পর্যন্ত বিরক্ত করবে। ১২ বছর পর্যন্ত বারবার এই আক্রমণ যাতে না হয়, সে ক্ষেত্রে কিছু নিয়মকানুনের মধ্যে চলে যেতে হবে। শুধু যদি বাচ্চাকে ঠিকমতো ঢেকে রাখতে পারি, ফুলহাতা জামাকাপড় ঠিকমতো পরাই, সে পোকামাকড়ের কামড় থেকে রক্ষা হচ্ছে, ধুলাবালি থেকে রক্ষা হচ্ছে। আবার মায়েরা যদি বাচ্চাকে খেলতে যাওয়ার আগে একটু হাতে-পায়ে তেল দিয়ে দেন, তাহলে ভালো হয়। আমাদের বড়দের চামড়ায় তেল তৈরি করার গ্রন্থি তো একটিই। কিন্তু বাচ্চাদের এটি নেই। তাই তেল কিন্তু শুধু যে আমাদের সৌন্দর্যের জন্য তা নয়, তেল বিভিন্ন ভাইরাস-ব্যাকটেরিয়াকে ঠেকিয়ে রাখছে। এটা এক ধরনের সুরক্ষা দিচ্ছে। তাই মায়েরা যদি একটু তেল দিয়ে দেন খেলতে যাওয়ার আগে বা বাইরে যাওয়ার আগে, তাহলে বাচ্চা আরেকটু ভালো থাকতে পারে।
খাবারের ব্যাপারে যদি কোনো বিষয় খেয়াল করি যে দুধ খাওয়ার কারণে বা মাছ-মাংস খাওয়ার কারণে, যদি নির্ধারণ করা যায়, সে ক্ষেত্রে সেটা এড়িয়ে যেতে পারে। আগে সমস্যাগুলো কম ছিল। এখন বুকের দুধ যাঁরা খাওয়াচ্ছেন না, গরুর দুধের ওপর নির্ভর করছেন—তাঁদের বাচ্চাদের ভোগান্তি বেশি থাকবে। তাই মায়ের বুকের দুধের বিকল্প কিন্তু কোনো কিছু হবে না। টিনের দুধ খাওয়ানো হোক বা যে দুধই হোক, সমস্যাগুলো বেড়ে যেতে পারে।
প্রশ্ন : লক্ষণ প্রকাশ পাওয়ার পর অবশ্যই চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের কাছে যেতে হবে, তাই নয় কি?
উত্তর : এটা তো দীর্ঘমেয়াদি অসুখ। নিকটস্থ চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ যিনি রয়েছেন, তাঁকেই দেখান। যদি দেখা যায় ভালো হচ্ছে না, সে ক্ষেত্রে একজন চর্মরোগ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।