ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি সোসাইটির কর্মশালা অনুষ্ঠিত

বাংলাদেশ ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি সোসাইটির আয়োজনে ‘আগ্রাসন ও সহিংসতা মনস্তত্ত্ব’ শীর্ষক দুই দিনব্যাপী কর্মশালা আজ শেষ হয়েছে। গতকাল শুক্রবার সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী সিনেট ভবনে এ অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম।
আজ মানসিক স্বাস্থ্যের আটটি বিষয়ের ওপর কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।এর মধ্যে সন্তান লালন পালন বিষয়ে কর্মশালার প্রশিক্ষক ছিলেন তানজির আহম্মদ তুষার (সহকারী অধ্যাপক, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়)। রাগ ব্যবস্থাপনা বিষয়ে প্রশিক্ষক ছিলেন শাহানা পারভীন এমফিল (স্কলার)ও ফাল্গুনী রানি এমফিল (স্কলার)। চাপ ব্যবস্থাপনা বিষয়ে প্রশিক্ষক ছিলেন কানিজ ফাতেমা (সহকারী ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্ট, এনপিইউ), ড. এম মাহমুদুর রহমান (অধ্যাপক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়)।
আত্মসম্মানবোধ নিয়ে প্রশিক্ষক ছিলেন তরুণ গায়েন (ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্ট)ও জহোরা পারভীন বাণী (ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্ট)। বয়ঃসন্ধিকালের আবেগীয় সমস্যা নিয়ে প্রশিক্ষক ছিলেন সাদিয়া শারমিন (সিপি, বারডেম), জোবায়দা খাতুন, সহকারী অধ্যাপক (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, অন্তরঙ্গ সম্পর্কে দ্বন্দ্ব বিষয়ে প্রশিক্ষক ছিলেন ড. এম মাহমুদুর রহমান, অধ্যাপক (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়), মুক্তা জাহান বানু ও মৌমিতা জেরিন নিলাভ (এমফিল পার্ট টু)। মস্তিষ্ক ও আচরণ বিষয়ে প্রশিক্ষক ছিলেন (মো.শাহানুর হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়)।
গতকাল উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্টদের উদ্দেশে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেন,‘বাংলাদেশ ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্ট অ্যাক্ট এখন খসড়া পর্যায়ে আছে। সেটা চূড়ান্ত হবে আশা করছি।’
মন্ত্রী আরো বলেন,‘শিক্ষিত তরুণরা জঙ্গি হচ্ছে, অস্ত্র হাতে মানুষ হত্যা করছে। তাদের এগুলো থেকে মুক্ত করতে মাদক, ধূমপান এগুলো বন্ধ করা উচিত। এটা আইন করে বন্ধ করা সম্ভব নয়। অভিভাবকদের সন্তানদের প্রতি খেয়াল নিতে হবে। সন্তানদের সময় দিতে হবে।’