শিশুর পানিশূন্যতা কেন হয়?

বড়দের মতো শিশুদেরও পানিশূন্যতা হয়। শরীর থেকে অতিরিক্ত পানি বেরিয়ে গেলে এবং সেটি আর পূরণ করা না গেলে এই সমস্যা ঘটে। একটু বড় বাচ্চাদের চেয়ে তুলনামূলক ছোট বাচ্চারা এই সমস্যায় বেশি আক্রান্ত হয়।
শিশুদের পানিশূন্যতার কিছু কারণ জানিয়েছে জীবনধারা বিষয়ক ওয়েবসাইট বোল্ডস্কাই।
মানবশরীর ৯৫ ভাগ পানি দিয়ে গঠিত। তাই শরীর ঠিকঠাক রাখতে হলে পানি পান করা প্রয়োজন। শিশুরা বিভিন্ন কারণে পানিশূন্যতায় ভোগে। বিশেষ করে, ভাইরাস দিয়ে সংক্রমণ হলে পানিশূন্যতা বেশি হয়। যেমন : রোটাভাইরাস। আবার কিছু কিছু ব্যাকটেরিয়া দিয়ে সংক্রমণের কারণেও কিন্তু শিশুরা পানিশূন্যতায় ভোগে। যেমন, ই কোলি বা স্যালমোনেলা ব্যাকেটরিয়া দিয়ে আক্রান্ত হলে শিশুদের পানিশূন্যতা দেখা যায়।
শিশু অসুস্থ থাকলে সাধারণত খেতে বা পানি পান করতে চায় না। এই জন্য শরীরে তরলের ঘাটতি হয়। ডায়রিয়া, বমি ইত্যাদি হলেও শরীর থেকে প্রয়োজনীয় তরল বেরিয়ে যায়। বেশি তরল শরীর থেকে বেরিয়ে গেলে পানিশূন্যতা হতে থাকে।
শিশুদের পানিশূন্যতার আরেকটি কারণ হলো তাপমাত্রা। খুব গরম বা খুব তাপের সময় ছোট-বড় সবারই প্রায় পানিশূন্যতা দেখা দেয়। তাই খুব গরমের সময় শিশুর পানিশূন্যতা হচ্ছে কি না সেই বিষয়ে খেয়াল রাখা জরুরি।
এ ছাড়া শিশু চার থেকে পাঁচ ঘণ্টা না খেয়ে বা পানি পান না করে থাকলে পানিশূন্যতায় পড়তে পারে।
পানিশূন্যতা এড়ানোর সবচেয়ে ভালো উপায় হলো শিশুকে পর্যাপ্ত পানি পান করানো। এ ছাড়া পানির পাশাপাশি ঘরে তৈরি জুস খাওয়াতে পারেন। আর নবজাতকের পানিশূন্যতা এড়াতে বারবার মাকে বুকের দুধ খাওয়াতে হবে।