ঘুমানোর আগে সুখি দম্পতিরা যা করেন

কখনো কি ভেবেছেন কিছু দম্পতি কেন সুখি হন, আর কিছু দম্পতি কেন জীবনভরই অসুখি রয়ে যান? এর পেছনে নিশ্চয়ই যুক্তিসংগত কারণ রয়েছে। আমাদের জীবনযাপনের ধরন অনুযায়ী কিন্তু মনের সুখ-দু:খ নির্ভর করে।
কিছু বিষয় রয়েছে যেগুলো ঘুমের আগে সুখি দম্পতিরা করে থাকেন। ভারতীয় ওয়েবসাইট টাইমস অব ইন্ডিয়া অনলাইন সংস্করণে প্রকাশ হয়েছে এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন।
- একই সময় ঘুমাতে যান
সুখি দম্পতিরা সারা দিন ব্যস্ত থাকলেও অন্তত রাতে একসঙ্গে ঘুমাতে যান। আসলে বর্তমান জীবনযাপনের ধরনের কারণে স্বামী-স্ত্রী দুজনই ব্যস্ত থাকেন। দিনভর মেলে না সময়। কিন্তু ঘুমানোর সময়টা দুজনেরই এক ও অভিন্ন। সেটাই সুখি দম্পতিরা কাজে লাগান। আর এতে মন-শরীর দুটোই ভালো থাকে বলেও জানান মনোসম্পর্ক বিশেষজ্ঞরা।
- ঘুমানোর আগে ফোন ধরেন না বা টেক্সট করেন না
স্মার্টফোনের ব্যবহার কারো কারো ক্ষেত্রে আসক্তির মতো। এ আসক্তি আমাদের জীবনের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। তবে সুখি দম্পতিরা এ বিষয়টি থেকে নিজেদের দূরে সরিয়ে রাখেন। অন্তত ঘুমানোর আগে তো অবশ্যই। তাঁরা কেবল খুব গুরুত্বপূর্ণ ফোন বা ম্যাসাজের উত্তরই দেন সে সময়।
- রাগান্বিত অবস্থায় ঘুমাতে যান না
এই বিষয়টি সুখি দম্পতিরা সবসময়ই মেনে চলার চেষ্টা করেন। তাঁরা কখনোই রাগান্বিত অবস্থায় ঘুমাতে যান না, যতই রাগ বা অভিমান থাকুক না কেন। বিশেষজ্ঞরা বলেন, নেতিবাচক আবেগ কেবল ঘুমের অসুবিধা করে না; মনের উপরও বাজে প্রভাব ফেলে।
- অফিসের কাজ ঘুমের আগে করেন না
আপনি কি এমন মানুষ যিনি সারাক্ষণ অফিসের কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকেন, ক্ষণে ক্ষণে ল্যাপটপ বা টেক্সট চেক করেন? তাহলে এই অভ্যাস বাদ দিন। গবেষণায় বলা হয়, যাঁরা সারাক্ষণ অফিস নিয়ে চিন্তিত থাকেন তাঁদের দাম্পত্য তেমন সুখের হয় না।
- ল্যাপটপ, কম্পিউটার থাকে না শোবার ঘরে
শোবার ঘর হলো এমন একটি জায়গা যেখানে দম্পতিরা নিজেদের মতো সময় কাটান। এখানে ল্যাপটপ বা কম্পিউটার রাখা মানেই নিজেদের সময় অন্যকে দেওয়া। তাই সুখি দম্পতিরা শোবার ঘরকে এসব মুক্ত রাখার চেষ্টা করেন।
মানুষের জীবনের সম্পর্ক কোনো ছকে বাঁধা ব্যাপার না। আবার সবকিছুকে একেবারে অবহেলাও করাও ঠিক না। শেষ পর্যন্ত সবাই সম্পর্কটাকেই সুন্দর রেখে সুখি হতে চায়। তাই, প্রতিদিনকার ব্যস্ত জীবনে এই নিয়মগুলো মেনে চলে দেখা যেতেই পারে।