কেন মানুষ সম্পর্কে প্রতারণা করে? বিজ্ঞান যা বলে

সঙ্গীর সঙ্গে প্রতারণার ঘটনা অহরহই ঘটে। অনেকে প্রতারণা করে সঙ্গীকে ছেড়ে চলে যায়, কেউ বা একসঙ্গে একাধিক সম্পর্ক চালিয়ে যায়। কিন্তু মানুষ কেন প্রতারণার আশ্রয় নেয়? প্রতারণা করতে কোন বিষয়গুলো উদ্দীপনা জোগায় মানুষকে?
এসব প্রশ্নের উত্তর মিলেছে এক গবেষণালব্ধ সমীক্ষায়। গবেষণা বলছে, যাঁদের একাধিক যৌনসঙ্গী থাকে, তাঁরা সাধারণত সম্পর্কে প্রতারণা করেন। এ ছাড়া যাঁরা আবেগপ্রবণ স্বভাবের হন, তাঁরাও সম্পর্কে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে থাকেন।
ব্রিটিশ গণমাধ্যম ইনডিপেনডেন্ট ওই গবেষণার বরাত দিয়ে সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, প্রতিটি সম্পর্কই আলাদা, স্বতন্ত্র সমীকরণ। সম্পর্কে প্রতারণার কারণগুলো খুঁজেছে ইউনিভার্সিটি অব কুইন্সল্যান্ডের একদল গবেষক।
গবেষণালব্ধ নিবন্ধটি ব্রিটিশ জার্নাল অব সাইকোলজিতে প্রকাশিত হয়। এতে বলা হয়, আবেগপ্রবণ মানুষ সম্পর্কে বেশি প্রতারণা করে থাকেন, কেননা তাঁরা পরিস্থিতি তেমন বিবেচনা করেন না।
অন্যদিকে অতীতে যাঁরা একাধিক যৌনসম্পর্ক রক্ষা করেছেন, তাঁরাও সম্পর্কে প্রতারণায় এগিয়ে। কেননা এ বিষয়ে তাঁদের বিস্তর অভিজ্ঞতা রয়েছে।
স্বাভাবিকভাবেই প্রতারণার মূল কারণ হিসেবে উঠে এসেছে পারস্পরিক সঙ্গের অভাব ও সম্পর্কে অসন্তুষ্টি। সম্পর্কের বয়স ও গভীরতাও প্রতারণার ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলে, জানাচ্ছে নিবন্ধটি।
প্রতারণার প্রধান কারণগুলো জানতে গবেষকেরা দ্বারস্থ হয়েছিলেন ১৭ থেকে ২৫ বছর বয়সী ১২৩ জন তরুণ-তরুণীর কাছে। জরিপে অংশগ্রহণকারী প্রত্যেকেই সম্পর্ক-যাপন করছেন।
ওই নিবন্ধে আরো বলা হয়েছে, পুরুষেরা যৌনসম্পর্ক স্থাপনের মাধ্যমে প্রতারণা করে। অন্যদিকে, চুমুর মাধ্যমে প্রতারণা করে থাকেন নারী ও পুরুষ উভয়েই।
এবার নারী পাঠকেরা নড়েচড়ে বসুন। নিবন্ধের শেষদিকে নারীর জন্য একটি সুখবর রয়েছে। নিবন্ধে বলা হয়েছে, প্রতারণা কখনো কখনো নারীদের জন্য উপকারীও হয়। প্রতারিত হওয়ার পরে তাঁরা অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিতে পারেন। পরে ভালো ও উপযুক্ত সঙ্গী খুঁজে পেতে তা দারুণভাবে সহায়তা করে।
অবশ্য প্রতারণা থেকে পুরুষেরা কোনোভাবে উপকৃত হন কি না, সে সম্পর্কে নিবন্ধে কিছু বলা হয়নি। নিবন্ধটি ২০১৮ সালের আগস্টে প্রকাশিত হয়।