আপনি কি সিঙ্গেল? উঠে পড়ুন ভালোবাসার ট্রেনে!

ভালোবেসে যত্ন করে নিজের নামটি প্রিয়তমার হৃদয়-মন্দিরে লিখে রাখার আকুতি চিরন্তন। প্রেমিকাও কম যান না। প্রিয়তমের উদ্দেশে বলেন, ভুলো না আমায়। কাহিনী যা-ই হোক, ‘গোলাপী এখন ট্রেনে’ ছবির নামটি গেঁথে আছে বাংলার মানুষের মনে। তবে সত্যিই প্রেয়সীর সন্ধান পেতে ট্রেনকে উপলক্ষ করল চীন, মানে ‘লাভ ট্রেন’।
বলা হয়ে থাকে, পৃথিবীর শ্রেষ্ঠতম অনুভূতিগুলোর একটি ভালোবাসা। কিন্তু যদি ভালোবাসার মানুষই না থাকে? এবার চীনে ভালোবাসাহীনতায় ভোগা তরুণ-তরুণীদের জন্য দেশটি করেছে ব্যতিক্রমী এক আয়োজন।
ইনসাইডারের বরাত দিয়ে হিন্দুস্তান টাইমসের এক খবরে বলা হয়েছে, চীনের ২০ কোটি তরুণ-তরুণী একা (সিঙ্গেল)। পছন্দের কাউকে খুঁজে পেতে অবশ্য সুযোগেরও প্রয়োজন হয়। তাই অনেকের জন্যই এটি সহজ কোনো কাজ নয়। সিঙ্গেল তরুণ-তরুণীদের পছন্দের মানুষ খুঁজে পেতে দেশটি চালু করেছে ‘ভালোবাসার ট্রেন’।
‘ওয়াই ৯৯৯’ নামক ট্রেনটি প্রেমকেন্দ্র হিসেবেও পরিচিত। তরুণ-তরুণীদের ভালোবাসায় উৎসাহ দিতে এটি বিশেষভাবে নকশা করা হয়েছে। মজার এ ট্রেন প্রকল্প তিন বছর আগে শুরু হয়েছিল। আর হাজারো মানুষ তাঁদের ভালোবাসা খুঁজে নিতে এরই মধ্যে ট্রেনটিতে চড়েছেন।
এ বছরের আগস্টেও ট্রেনটি চীনের চংকিং উত্তর স্টেশন থেকে কিয়ানজিয়াংয়ের উদ্দেশে রওয়ানা দেয়। দুই দিনব্যাপী এ যাত্রার উদ্দেশ্য ছিল যাত্রীদের পারস্পরিক পরিচিতি গড়ে তোলা ও ভালোবাসার বন্ধন তৈরি করা।
‘ঘটকালি সার্ভিসের চেয়েও এটি অধিক সৃষ্টিশীল। ট্রেনটি একটি সেতুর মতো। বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ জড়ো হয়েছে এখানে। উদ্দেশ্য, একে অন্যকে জানা,’ ইনসাইডারকে বলেন যাত্রী হুয়াং সং।
আরেকজন যাত্রী বলেন, ‘আপনি যদি এখান থেকে পছন্দের মানুষ খুঁজে না-ও পান, তবুও এখান থেকে বেশকিছু বন্ধু খুঁজে পাবেন।’
চমকপ্রদ এ যাত্রা সাফল্যের দেখাও পেয়েছে। এরই মধ্যে ১০০ জন তাঁদের ভালোবাসার মানুষ খুঁজে পেয়েছেন ট্রেন থেকে। বিস্ময়ের এখানেই শেষ নয়। এ ট্রেনে ভ্রমণের পরে ১০ যুগল আবদ্ধ হয়েছেন বিবাহবন্ধনে।
প্রিয় পাঠক, আপনিও কি এ ট্রেনে ভ্রমণের সুযোগ নিতে আগ্রহী?